৫ লাখ টাকায় ধর্ষণের মীমাংসা, ১ লাখ নিলেন মাতবররা!
ধামরাইয়ে এক কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা ৫ লাখ টাকায় মীমাংসা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ লাখ টাকা ভুক্তভোগীর পরিবারকে দিলেও ১ লাখ টাকা স্থানীয় মাতবররা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এ মীমাংসা মেনে নেয়নি ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী। ধর্ষক তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়েছে সে।
বুধবার রাতে উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মোল্লা ও সাবেক মেম্বার আলমগীর হোসেনের বাড়িতে রাতভর দফায় দফায় সালিশ বৈঠক হলেও তা মীমাংসা হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার উপজেলার ৭, ৮ ও ৯নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী মেম্বার রেহেনা আক্তার, শাহীন মেম্বার, বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেন আলতু ও মাতবর আজিজুল হক ঘটনাটি মীমাংসা করেন।
জানা গেছে, উপজেলার চারিপাড়া এলাকার বাবলু মিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ওই তরুণীর। এরপর সে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। বাবুল মিয়াকে বিয়ের চাপ দিলে সে নানা টালবাহনা শুরু করে। পরে আবারো বিয়ের কথা বলায় বাবুল ওই তরুণীকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে ফের ধর্ষণ করে। এ সময় স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পাওয়ায় ভুক্তভোগী তরুণীকে রেখে পালিয়ে যায় বাবুল মিয়া। পরে বাবুলের বাড়িতে গিয়ে উঠে ওই তরুণী। এলাকায় ঘটনা জানাজানি হলে মীমাংসার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের বাড়িতে রাতে সালিশ হয়। ওই সময় মীমাংসা না হওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকালে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রেহেনা আক্তারের বাড়িতে এ নিয়ে ফের সালিশ হয়।
সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী মেম্বার রেহেনা আক্তার বলেন, বিষয়টি মীমাংসা করার পর স্ট্যাম্প করা হয়। আর এতে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মাতবররা কেউ সই না করায় আমি স্ট্যাম্প রেখে তাদের চলে যেতে বলি।
সাবেক মেম্বার আলমগীর রাতে সালিশ করার কথা স্বীকার করে বলেন, বিয়ে না হলে মেয়েটি আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দিয়েছে। তাই মীমাংসা হয়নি। বৃহস্পতিবার বিকালের মীমাংসা বৈঠকে আমি ছিলাম না।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মোল্লা বলেন, আমার বাড়িতে মাতবররা এসে বসেন। ছেলে-মেয়ের ঘটনা হওয়ায় আমি তাদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলি এ ব্যাপারে আমার কিছুই করার নেই। বৃহস্পতিবার কে, কীভাবে মীমাংসা করেছে তা আমার জানা নেই।