মিয়ানমার সরকারের সাথে ব্যবসা করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের হুশিয়ারি
মিয়ানমারে যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে তাদের সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সামরিক কোনো সরকারের সাথে ব্যবসা করতে গেলে সেখানে আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকি থাকে বলে এই সতর্কতা দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সমপর্যায়ের ছয়টি বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সামরিক সরকারের সাথে যারা ব্যবসা করছেন তাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। একইসাথে আর্থিক ও আইনি জটিলতায় পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা ও অর্থপাচার সংক্রান্ত আইন নিয়ে এ জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্র মালিকানাধীন বিভিন্ন উদ্যোগ, রতœ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু খাত, আবাসন এবং অন্যান্য নির্মাণ প্রকল্প ও অস্ত্র ব্যবসার বিষয়ে বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বার্মার সামরিক শাসকের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এসব খাতের ভূমিকা রয়েছে। এক বছর আগে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সরকারের অধীনে কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড না চালাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরো কিছু দেশ বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
এতে আরো বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী অন্যায়ভাবে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের নেতাদের গ্রেফতার করেছে, ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে ও শান্তিপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিবাদ থামাতে সহিংস পথ বেছে নিচ্ছে। এ ছাড়া সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও অর্থপাচার ঠেকাতে মিয়ানমার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি; যার জন্য দেশটিতে বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের বাড়তি ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিবৃতিতে যেসব সতর্কতা দেয়া হয়েছে এগুলো কেবল পরামর্শমূলক, আইনি কোনো পদক্ষেপ নয়।
তবে এটা এমন এক সময় দেয়া হলো যখন মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়ে যাচ্ছে এবং বেশ কিছু বিদেশী কোম্পানি দেশটিতে তাদের বিনিয়োগ পরিকল্পনা বাতিল করেছে। গত শুক্রবার টোটাল এনার্জি ও শেভরনের মতো কোম্পানি মিয়ানমার ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়াও আগেই একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরওয়ের টেলিনর, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ফ্রান্সের ভোলটালিয়া এবং টয়োটা।