পর্তুগালের জাতীয় নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি
পর্তুগালে ১৫তম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী রোববার (৩০ জানুয়ারি)। নির্বাচনে সংসদীয় আসন সংখ্যা সর্বমোট ২৩০টি। প্রতিবারের মতো এবারও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোসহ অন্যান্য শরিকদল।
গত শনিবার দেশটির অন্যতম প্রধান দুটি টেলিভিশন চ্যানেল টিভিআই ও সিএনএন জাতীয় নির্বাচনের দ্বিতীয় আগাম জরিপ প্রকাশ করে। পোলিং ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আগাম এ নির্বাচন জরিপ গ্রহণ করা হয়। এতে অংশ নেন ৭৬০ জন।
যদিও টিভিআই এবং সিএনএস তাদের প্রকাশিত অগ্রিম জরিপে দেশটির সোশাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিএসডি) এগিয়ে ছিলেন কিন্তু প্রকাশিত জরিপের পরের দিন অর্থাৎ রোববার সোশালিস্ট পার্টিকে (পিএস) এগিয়ে থাকতে দেখা যায়।
চলতি মাসের ১৯ জানুয়ারি থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত এই পোলিং ট্র্যাকিং জরিপ গ্রহণ এবং বিশ্লেষণ করা হয়। প্রকাশিত দ্বিতীয় জরিপে দেখা যায়, গত শনিবার দেশটির সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিএসডি) ৩৪.৪ শতাংশ জনপ্রিয়তা নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভের শীর্ষে অবস্থান করছে।
অন্যদিকে সোশালিস্ট পার্টি (পিএস) ৩৩.৮ শতাংশ জনপ্রিয়তা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। পরের দিন অর্থাৎ রোববার সোশালিস্ট পার্টি (পিএস) তাদের জনপ্রিয়তা ৩৪.১ শতাংশ নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভের শীর্ষে রয়েছে, আর সোশ্যাল ডেমোক্রেটদের (পিএসডি) ৩৩.৫ শতাংশ জনপ্রিয়তা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে।
টিভিআই ও সিএনএন গত নভেম্বরে প্রধান এ ২টি রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা দেখিয়েছিল যথাক্রমে পিএস ৩৮.৫ শতাংশ এবং পিএসডিকে ২৪.৪ শতাংশ। আর ডিসেম্বরের জরিপে পিএস ৩৫.৪ শতাংশ এবং পিএসডি ৩৩.২ শতাংশ অবস্থানে থাকে। কিন্তু জানুয়ারি মাসে এসে টিভিআই ও সিএনএন পরপর দুটি জরিপ প্রকাশ করে।
প্রথম জরিপে দেখা যায়, পিএস নির্বাচনে জয়লাভের জন্য ৩৮.১ শতাংশ জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রথম স্থানে অবস্থান করছেন, অন্যদিকে পিএসডির জনপ্রিয়তা কিছুটা হ্রাস পেয়ে ২৮.৫ শতাংশে নেমে যায়।
চমকপ্রদভাবে জাতীয় নির্বাচনের ঠিক এক সপ্তাহ পূর্বে প্রকাশিত দ্বিতীয় আগাম জরিপে সোশাল ডেমোক্রেটিক পার্টিকে (পিএসডি) ৩৪.৪ শতাংশ জনপ্রিয়তা নিয়ে এগিয়ে থাকতে দেখা যায়। অন্যদিকে প্রথম দিকের জরিপে এগিয়ে থাকা পিএসের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়ে ৩৩.৮ শতাংশে অবস্থান করে।
প্রধানমন্ত্রী এন্তোনিয় কোস্তার দল পিএস ও রুই রিওর পিএসডি ছাড়াও অন্যান্য দলগুলোরও নির্বাচনের জয়লাভের আশঙ্কা জরিপে প্রকাশ করা হয়।
এখানে দেখা যায়, এন্ড্রে ভেনতুরার দল সেগার জনপ্রিয়তা ৮ শতাংশ, বামপন্থি বিই ৬.৬ শতাংশ, কমিউনিস্ট পার্টি সিডিইউ ৪.৫ শতাংশ, পিএএন ৩.২ শতাংশ, ইনেয়েসিয়েটিভা লিবারেল ২.৮ শতাংশ, সিডিএস-পিপি ১.৬ শতাংশ, লিভরে ১.৪ শতাংশ জনপ্রিয়তায় অবস্থান করছেন।
টিভিআই ও সিএনএনের প্রকাশিত জরিপের বিশ্লেষণ অনুযায়ী প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল পিএস এবং পিএসডি যেই দলই জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করুক না কেন তাদের যৌথভাবে সরকারি বিধানসভা গঠন করতে হবে। কেননা কোনো রাজনৈতিক দলই এককভাবে নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারবে না।
অন্যদিকে, দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের মধ্য থেকে যারা এরই মধ্যে পর্তুগিজ ন্যাশনালিটি অর্জন করেছেন তারাও এ নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছেন এবং নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।
পিএস এবং পিএসডি প্রধান এই দুটি দলেরই রয়েছে অভিবাসীবান্ধব নির্বাচনী লক্ষমাত্রা। তবে দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে অবস্থান করা নেতৃত্বস্থানীয় কমিউনিটি ব্যক্তিদের মতে অভিবাসীদের পক্ষে এখনো পর্যন্ত কার্যকরী ও সহজতর পদক্ষেপ বা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এন্তোনিয় কোস্তার সোশালিস্ট পার্টি (পিএস)।