শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে অবস্থান কর্মসূচি
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সমর্থনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কয়েকজন শিক্ষার্থী।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘শাবিপ্রবির সঙ্গে ঢাবির সংহতি’ ব্যানারে সকাল ১০টা থেকে অবস্থান করছেন তারা।
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচারসহ শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সব দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দেন তারা।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জাবির আহমেদ জুবেন, ফার্মেসি বিভাগের ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত সাদ, আইন বিভাগের ৩য় বর্ষ কাজী রাকিব, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জেসান অর্ক মারান্ডি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মোজাম্মেল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান, একাউন্টিং বিভাগের মাস্টার্সের মাহির শাহারিয়ারকে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
আরাফাত সাদ বলেন, শাবি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত কয়েকদিন ধরে অনশন কর্মসূচি করছে। যার কারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ভিসির নির্দেশে পুলিশি হামলা চালানো হয়েছিলো। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ রকম ঘটনা খুবই কম রয়েছে। আমরা যা একাত্তর পূর্ববর্তী পাকিস্থানি শাসনামল ও এরশাদ শাসনামলে স্বৈরাচারি কর্মকাণ্ড দেখেছি। কিন্তু বর্তমান সরকারের শাসনামলেও একই কর্মকাণ্ড আমাদের দেখতে হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় হচ্ছে না ততদিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
জেসান অর্ক মারান্ডি বলেন, একদিকে আমাদের ভাই-বোনেরা পথের ধারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে কাতরাচ্ছে সেখানে স্বৈরাচারি ভিসি ঠিকই তার অবস্থানে অনড়। ২৪ জন শিক্ষার্থী আজ তিনদিন ধরে অনশনে আছে কিন্তু সরকার ও প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। আমরা এহেন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আর শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
শাবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্টের অসদাচরণের অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই হলের ছাত্রীদের মাধ্যমে সূচনা হয় আন্দোলনের। গত শনিবার আন্দোলনরতদের ওপর ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়। এতে নতুন মাত্রা পায় আন্দোলন।