বাইডেন-কিশিদা বৈঠকে যে বিষয় গুরুত্ব পাবে
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, শুক্রবার তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক আরম্ভ করেন। দেশ দুইটি উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি এবং চীনের সামরিক শক্তি জাহির করার প্রবণতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগের সম্মুখীন।
ভার্চুয়াল এই বৈঠকটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যখন ইতোপূর্বে এই সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া আভাস দেয় যে, তারা তাদের পারমাণবিক ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পুনরায় চালু করবে। এ ধরণের পরীক্ষা তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল।
বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন, ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বলে কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে। বৈঠকটিতে কর্মকর্তারা তাদের ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্রের ‘বৈরী পদক্ষেপ’ মোকাবেলার উদ্দেশে, তাদের সামরিক সক্ষমতা ‘অবিলম্বে শক্তিশালী’ করতে নীতিগত লক্ষ্য স্থির করেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান উভয়ই, তাইওয়ানের প্রতি চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। স্বশাসিত তাইওয়ানকে, চীন নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে, যেটি প্রয়োজনে বলপূর্বক দখল করতেও রাজি তারা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, চীন দ্বীপ-রাষ্ট্র তাইওয়ানের আশপাশে সামরিক মহড়া জোরদার করেছে। প্রায়ই তাইওয়ানের আকাশসীমার কাছাকাছি যুদ্ধবিমান পাঠায় চীন।
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের উদ্দেশ্য নিয়ে জাপান উদ্বিগ্ন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন, সেখানে ও পূর্ব চীন সাগরে, নিজেদের সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করেছে। পূর্ব চীন সাগরে, টোকিও শাসিত জনবসতিহীন কয়েকটি ছোট দ্বীপ নিয়ে, দীর্ঘ দিন ধরে বিতর্ক রয়েছে, কারণ বেইজিং সেগুলোর দখল দাবি করে।
হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তারা বলেন যে, এই দুই নেতার মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারী বিষয়ে চলমান প্রচেষ্টাগুলি নিয়েও আলাপের কথা রয়েছে। এছাড়া, পূর্ব ইউরোপে ঘনিয়ে আসা সঙ্কট নিয়েও আলাপের কথা রয়েছে, যেখানে ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে রাশিয়া ১ লাখ সেনা জড়ো করেছে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা