উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা?

0

ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা ভোট হতে চলেছে। এবার উত্তরপ্রদেশে সাত ধাপে ভোট হবে।

প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ভোট ১৪ ফেব্রুয়ারি, তৃতীয় ধাপ ২০ ফেব্রুয়ারি, চতুর্থ ধাপ ২৩ ফেব্রুয়ারি, পঞ্চম ধাপ ২৭ ফেব্রুয়ারি, ষষ্ঠ ধাপ ৩ মার্চ এবং সপ্তম ধাপের ভোট হবে ৭ মার্চ।

২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা সিংহভাগ নির্ভর করে উত্তরপ্রদেশের ওপর। ফলে চলতি বছর এই রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে আছে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো।

এর মধ্যে কংগ্রেস ঠিক করে ফেলছে উত্তরপ্রদেশ জয় পেলে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী। সোনিয়া তনয়া প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে ভোটের ময়দানে নামতে চলেছে কংগ্রেস।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের ইশতেহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে প্রিয়াঙ্কার ইঙ্গিত, তিনিই পার্টির মুখ ওই রাজ্যটিতে। কিন্তু ভোটে লড়বেন কি না তা নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রেখেছেন কংগ্রেস নেত্রী। যেখানে বিজেপির বাজি যোগী আদিত্যনাথ এবং সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব নির্বাচনে লড়ার কথা ঘোষণা করেছেন, সেখানে প্রিয়াঙ্কার পক্ষ থেকে কোনো ইঙ্গিত আসেনি।

ধারণা করা হচ্ছে, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে পরে কোনো একটি কেন্দ্র থেকে উপ-নির্বাচনে জয়ের লড়াই করতে পারেন তিনি। এর আগে পুরো সময় উত্তরপ্রদেশে ভোট চাইবেন তিনি। যেমনটা ২০১১ সালে পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছিলেন। সেবার মমতা পুরো পশ্চিমবঙ্গে প্রচার কাজ চালিয়েছিলেন। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর কলকাতার ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ৫৩ হাজার ভোটে জয় পেয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইন্দিরা গান্ধীর নাতনি সেই আদলেই এবার উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটযুদ্ধে নামছেন।

শুক্রবার দলের ইশতেহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে প্রিয়াঙ্কাকে উত্তরপ্রদেশে দলের মুখ কে হবেন জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কংগ্রেসের পক্ষে আপনাদের কি অন্য কারও মুখ নজরে আসছে? সব জায়গায় তো আমার চেহারা দেখতে পাচ্ছেন ‘ তাহলে প্রিয়াঙ্কা কি ভোটে লড়বেন? এ বিষয়ে প্রিয়াঙ্কার উত্তর, ‘ঠিক সময়ে আপনারা জানতে পারবেন। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। ’

অপরদিকে কংগ্রেস কি একক ক্ষমতায় উত্তরপ্রদেশ দখল করতে পারবে নাকি ভোটপরবর্তী জোট করবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে আমরা বিষয়টি বিবেচনা করবো। সেক্ষেত্রে সবরকম সমঝোতার রাস্তায় হাঁটবো। ’

এরপরই প্রিয়াঙ্কা ইশতহার প্রসঙ্গে বলেন, ‘কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে উত্তরপ্রদেশে ২০ লাখ সরকারি চাকরি দেবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদ পূরণ হবে। ’

রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমরা বলছি না ১০ লাখ, ২০ লাখ বা ৪০ লাখ চাকরি দেব। আমরা বলছি আমরা নীতি তৈরি করেছি চাকরি দেওয়ার জন্য। উত্তরপ্রদেশে প্রতিদিন গড়ে ৮৮০ জন চাকরি হারান। গত পাঁচ বছরে বিজেপির শাসনামলে ১৬ লাখ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। মনে রাখবেন, প্রধানমন্ত্রী বছরে দুই কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ’

রাহুলের দাবি, ‘ভারতকে নতুন পথ দেখাতে পারে একমাত্র কংগ্রেস। ছোট দলগুলো সেটা করতে পারবে না। আর বিজেপির লক্ষ্য দেশের লক্ষ্য নয়। ২০১৪ সালে বিজেপি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। এটা বিপর্যয়। ভারতের এগিয়ে যেতে নতুন লক্ষ্য প্রয়োজন। যদি ভারতকে নতুন পথ দেখাতে হয় তাহলে তা উত্তরপ্রদেশ থেকেই শুরু করতে হবে। প্রত্যেক রাজ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মতো ভার অন্য রাজ্যের নেই। তাই আমরা উত্তরপ্রদেশের জন্য নতুন করে চিন্তাভাবনা করছি। ’

প্রসঙ্গত, মমতার দল তৃণমুল কংগ্রেসেও উত্তরপ্রদেশের ভোটের ময়দানে নামতে চলেছেন। তবে কংগ্রেসের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চলেছে বিজেপি এবং সমাজবাদী পার্টি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com