হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় রাজধানীর তিতুমীর কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মনজিল পরিবহনের একটি বাসের (ঢাকা মেট্রো ব-১৪ ৯৬৪৫) চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে। এসময় পুরো ভাড়া না দেওয়ায় তাদের হাত ঘড়ি ও মানিব্যাগ রেখে দিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাখালী কাঁচাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই দুই শিক্ষার্থী তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে যান। তাদের সহপাঠী ও অন্য শিক্ষার্থীরা ঘটনা জেনে ওই রুটে চলাচল করা মনজিল পরিবহনের সাত থেকে আটটি বাস আটকে বিক্ষোভ শুরু করে।
গুলশান ট্রাফিক বিভাগের মহাখালী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আশফাক আহমেদ বলেন, হাফ ভাড়া না নিয়ে তিতুমীর কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মনজিল পরিবহনের কয়েকটি বাস আটকে দেয়। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছে। থানা পুলিশও রয়েছে। মনজিল পরিবহনের মালিকপক্ষ ঘটনাস্থলে এসেছে। উভয়পক্ষ বসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট রুবেল হোসেন বলেন, সকালে মহাখালী কাঁচাবাজার এলাকা থেকে নাহিদ ও দুর্জয় নামে তিতুমীর কলেজের দুই শিক্ষার্থী খিলক্ষেত যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসে ওঠেন। ওই দুই শিক্ষার্থী স্টুডেন্ট পাসের কথা বলে হাফ ভাড়া দিতে চাইলে মনজিল বাসের হেলপার ফুল ভাড়া চান। ভাড়া নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে চালক-হেলপার। এরপর শিক্ষার্থীদের মানিব্যাগ ও হাতঘড়ি খুলে নিয়ে তাদের নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর তারা কলেজে ফিরে আসেন। এরপর ঘটনার খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাখালী কাঁচাবাজারের সামনের চলাচলকারী মনজিল পরিবহনের অন্য সাত থেকে আটটি বাস আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। উভয়পক্ষ বসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবি, ওই চালক-হেলপারকে ঘটনাস্থলে আনতে হবে। ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মানিব্যাগ ও হাতঘড়ি ফিরিয়ে দিতে হবে। হামলাকারী চালক-হেলপারের বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে হবে।