বিশ্ববাসীকে কীভাবে ভয় দেখাবেন বাংলাদেশের গুম-খুনের সরকার, প্রশ্ন রিজভীর
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, জনি, সুমনসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে সরকারি বাহিনীর কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আপনারা রাইফেলের ডগা দেখিয়ে জনগণকে ভয় দেখাতে পারেন, কিন্তু বিশ্ববাসীকে কীভাবে ভয় দেখাবেন?
গতকাল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেনের সুস্থতা কামনা করে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, দেশবাসী আজ দুঃসময়ের মধ্যে দিন যাপন করছে।
যারা গণতন্ত্র মুক্তির জন্য লড়াই করছেন, তারা কেউ ভালো নেই। আজ বিশ্ব মহামারির চেয়ে জাতীয় মহামারিতে বেশি আক্রান্ত দেশ। পুরো দেশ আজ অত্যাচার, অনাচারে আক্রান্ত। জাতি আজ ভীতিকর অবস্থায় রয়েছে। পাক হানাদারদের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে জাতি অস্ত্র হাতে দেশ স্বাধীন করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার পরই দেশের মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয় শাসকগোষ্ঠীর হাতে। পরাধীন থাকাকালীন যেভাবে নিষ্পেষিত হয়েছিল জনগণ, বর্তমানেও তার চেয়ে বেশি নিষ্পেষিত দেশ। বর্তমান সরকার বিরোধী দল ও মতকে ধ্বংস করার জন্য যে অত্যাচার নিপীড়ন করছে, তা ইয়াহিয়া ও টিক্কা খানকেও হার মানায়।
তিনি বলেন, বিরোধীদল আজ প্রতিবাদ করলে, কর্মসূচি দিলে গুম হতে হয়, বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়। রেহাই পায় না মিডিয়া কর্মীরাও। তাদেরকেও বন্দি করা হচ্ছে, গুম করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তিনি বললেন, আমেরিকায় প্রতিবছর ছয় লাখ লোক গুম হয়। আপনি এ তথ্য কোথায় পেয়েছেন? আপনার তথ্য দেখলে মনে হয় আপনি প্রাইমারি স্কুলও পাস করেননি। দুদিন পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবার বললেন, আমেরিকায় প্রতিবছর এক লাখ মানুষ গুম হয়। তিনি যে মিথ্যা তথ্য দেন, এটা নিজেই নিজের কথায় প্রমাণ করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চান। ক্ষমতার ক্ষুধার জন্য মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। মন্ত্রীদের দিয়ে মিথ্যা বলানো হচ্ছে। গোটা দেশ আজ বন্দিশালা। বর্তমান সরকারের তথাকথিত উন্নয়ন ফ্লাইওভার, সেতু দেখছে আর বন্দিশালায় ছটফট করছে। কখন কাকে গুম করবে সেই ভয়ে সবসময় শঙ্কিত থাকে মানুষ। তথাকথিত উন্নয়নের কথা বলে মানুষকে ভুলানো যাবে না। এখন পিছু হটার সুযোগ নেই। পিছু হটলে জাতি শত বছর পিছিয়ে পড়বে। এই সরকার জমিদারি শাসন কায়েম করতে চায়। গণতন্ত্র মুক্তির জন্য নির্ভয়ে বসবাসের জন্য এই সরকারের পতন ঘটাতেই হবে।