সাইবার হামলায় রাশিয়ার যুক্ত থাকার ‘প্রমাণ’ পেয়েছে ইউক্রেন
ইউক্রেনের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ওয়েবসাইটে হামলার জন্য রাশিয়ার যুক্ত থাকার ‘প্রমাণ’ পাওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন। দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় রোববার এমন তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, চলতি সপ্তাহের সাইবার হামলা রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের শুরু হিসেবে ধরা যেতে পারে।
গত শুক্রবার ইউক্রেনের অন্তত ৭০টি সরকারি ওয়েবসাইট লক্ষ্য করে হামলাগুলো চালানো হয়। সাইবার হামলাকে ‘ধ্বংসাত্মক’ বলে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। রোববার এক ব্লগ পোস্টে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ধারণার চেয়ে বেশি ওয়েবসাইট হামলার শিকার হয়েছে।
সাইবার হামলা নিয়ে ইউক্রেনের ডিজিটাল উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বলছে, সব প্রমাণ এটাই বলছে যে, সাইবার হামলার পেছনে রয়েছে রাশিয়া। হামলার উদ্দেশ্য শুধু ইউক্রেনের বাসিন্দাদের ভয় দেখানোই না, সরকারি কাজকর্ম বন্ধ এবং কর্তৃপক্ষের ওপর মানুষের আস্থা নষ্টের মধ্য দিয়ে দেশটির পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা।
তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এমন শক্ত দাবির পরও হামলার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টি মানতে নারাজ রাশিয়া। এ নিয়ে সমালোচনা করে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, সব বিষয়েই ইউক্রেন রাশিয়াকে দোষারোপ করে। বিষয়টা এমন দাঁড়িয়েছে যে দেশটির খারাপ আবহাওয়ার জন্যও মস্কো দায়ী। সাম্প্রতিক সাইবার হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা অযৌক্তিক।
পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হতে চায় ইউক্রেন। তবে এ নিয়ে মাথাব্যথা রয়েছে রাশিয়া। তাদের দাবি, ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্ত করা যাবে না। ইউরোপের পূর্ব দিকে আর বিস্তার ঘটানো যাবে না ন্যাটোর। সবকিছুর মধ্যে গত বছর শেষের দিক থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে লাখো সেনার সমাবেশ ঘটিয়েছে মস্কো। তবে রাশিয়া এ-ও বলছে, ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের।
শুক্রবার ইউক্রেনে হস্তক্ষেপের জন্য মস্কো ‘ষড়যন্ত্রের পথ’ বেছে নিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে ওয়াশিংটন। তাদের দাবি, রাশিয়া ইউক্রেনে একটি ‘সাজানো হামলার’ পরিকল্পনা করেছে। অন্তর্ঘাতমূলক ওই হামলা চালানো হবে রাশিয়াকেই লক্ষ্য করে। হামলার ‘নাটক’ মঞ্চস্থের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনে অভিযানের অজুহাত পাবে দেশটি।