যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দহরম-মহরম কমিয়ে চীনের দিকে ঝুঁকছে পাকিস্তান
পাকিস্তান গত ১৪ আগস্ট ৭৪তম স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করেছে। ১৯৪৭ সালের এই দিনে দেশটি ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়। চলার পথে দেশটি নানা চড়াই–উতরাই পেরিয়েছে। এই সময়ে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সমাপ্তিতে পাকিস্তান ভেঙে জন্ম নিয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে একাধিক যুদ্ধে জড়িয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক পাকিস্তান। বছরের পর বছর ধরে দেশটি শাসন করেছেন সামরিক শাসকেরা।
গত ৭৪ বছরে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে প্রভাববলয়ের রাজনীতিতে পাকিস্তান নিরপেক্ষতা দেখাতে পারেনি। আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশের ইচ্ছা পূরণে দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বলয়ে থেকে, মার্কিন অর্থ ও অস্ত্রে নিজেকে সাজিয়েছে দেশটি। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। প্রভাববলয়ের রাজনীতিতে পাকিস্তান এখন পরাশক্তি চীনের বিশ্বস্ত সঙ্গী। একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দহরম–মহরম কমেছে ইসলামাবাদের।
ভূরাজনৈতিক প্রভাববলয়ে পাকিস্তানের অবস্থান বদলের নীতিতে স্বভাবতই নাখোশ ওয়াশিংটন। ইসলামাবাদ ও বেইজিংয়ের সুসম্পর্ক দেখতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। গত জুনে চীনের ইংরেজি ভাষার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে। সেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন। ইমরান খান বলেন, ‘চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তিগুলো পাকিস্তানকে চাপ দিচ্ছে। চাপের মুখে ইসলামাবাদ–বেইজিং দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্বে পরিবর্তন আসবে না।’
ওই সাক্ষাৎকারে ইমরান খান আরও বলেন, ‘চীনের সঙ্গে পশ্চিমা শক্তিগুলোর বিরোধ রয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো যেকোনো এক পক্ষের হয়ে অবস্থান নিতে চাপ দিচ্ছে। কিন্তু আমরা কেন এক পক্ষের হয়ে অবস্থান নেব? সবার সঙ্গে পাকিস্তানের ভালো সম্পর্ক থাকবে।’
ইতিহাস যা বলে
একসময় চীন ও যুক্তরাষ্ট্র—দুই দেশই পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ ছিল। প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে পাকিস্তান ১৯৫০ সালে পিপলস রিপাবলিক অব চীনকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে দুটি দেশই পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। এমনকি গত শতকের সত্তরের দশকের শুরুতে ‘পিংপং কূটনীতির’ মাধ্যমে যখন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আনুষ্ঠানিক ভিত্তি পায়, সে সময় ভূমিকা রেখেছিল পাকিস্তান।
কিন্তু স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তিতে এককেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থায় পাকিস্তান সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাববলয়ে চলে যায়। এর পেছনে প্রধানত দুটো কারণ রয়েছে। এক. আফগানিস্তানে সোভিয়েত পতনের পর তালেবানের উত্থান এবং একবিংশ শতকে যুক্তরাষ্ট্রের আফগান যুদ্ধের সূচনা। দুই. কাশ্মীরসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক বিরোধ ও একাধিক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা।
ভারত ও আফগানিস্তানকে ঘিরে ঝুঁকির মুখে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান ঘনিষ্ঠ মিত্র ওয়াশিংটনের দিকে ঝুঁকে যায়। বছরের পর বছর ধরে বিলিয়ন ডলারের মার্কিন সহায়তা দেশটির সেনাবাহিনীর ভিত মজবুত করে। অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে এগিয়ে নেয়। তবে বিশ্বরাজনীতিতে চীনের প্রভাব বৃদ্ধি চিত্রপট পাল্টে দিয়েছে।
দ্বিমেরুকেন্দ্রিক বিশ্বে দক্ষিণ এশিয়ার জটিল ভূরাজনীতিতে চীনের প্রভাব ঠেকাতে আঞ্চলিক শক্তি ভারতকে পরম বন্ধু হিসেবে বেছে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তানের সঙ্গে তৈরি হয়েছে দূরত্ব।
এদিকে কৌটীল্যের ‘শত্রুর শত্রু বন্ধু’ নীতি মেনে এ সুযোগ লুফে নিয়েছে বেইজিং। ইসলামাবাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব জোরদার করেছে।
ইমরান খানের চ্যালেঞ্জ
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করা ইমরান খান পাকিস্তানি ক্রিকেটের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। এ জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) গঠন করেন তিনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে জিতে ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। দেশটিতে শক্তিশালী সেনাবাহিনীর কারণে কোনো গণতান্ত্রিক প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। ২০২৩ সালের নির্বাচন পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারলে ইমরান খান নতুন রেকর্ড গড়বেন।
কল্যাণমূলক ইসলামিক রাষ্ট্র গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ইমরান খান। কিন্তু বাদ সাধে ভঙ্গুর অর্থনীতি। অর্থনীতির পতন ঠেকাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হন তিনি। সংস্থাটি ২০১৯ সালে পাকিস্তানকে ছয় বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে রাজি হয়। এ অর্থের পুরোটা এখনো ছাড় করেনি আইএমএফ। এর মধ্যেই গত জুলাইয়ে পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২২ বিলিয়ন ডলার।
সহায়তার হাত বাড়িয়েছে চীন
ভঙ্গুর অর্থনীতির চাপ সামলাতে গিয়ে চীনের প্রতি আরও ঝুঁকে পড়েছেন ইমরান খান। চীনের কাছ থেকে বিপুল ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। বিনিময়ে বেইজিং পাকিস্তানের সঙ্গে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ এগিয়ে নিচ্ছে। গড়ে তোলা হচ্ছে চীন ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিশেষ অর্থনৈতিক করিডর (ইপিইসি)। পাকিস্তানের গোয়াদরে গভীর সমুদ্রবন্দর বানাচ্ছে চীন।
পাকিস্তানের ভূখণ্ডে নানা প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ৬৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে চীন। তবে সমালোচকেরা বলছেন, ইসলামাবাদ কঠিন শর্তযুক্ত চীনা ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে গেছে। আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণের ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ চীন থেকে নেওয়া। এ ঋণের পরিমাণ ৯ হাজার ১২ কোটি মার্কিন ডলার।
কঠিন শর্তের বেড়াজালে যুক্ত থেকে এসব ঋণ সময়মতো শোধ করতে না পারলে পাকিস্তানের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমরনীতিতে চীনা নিয়ন্ত্রণ বাড়বে, এতে সন্দেহ নেই। চোখের সামনে এর উদাহরণ শ্রীলঙ্কা। দেশটিতে চীনের অর্থ ও সহায়তায় হামবানটোটা বন্দর নির্মাণ করা হয়। তবে সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় দেশটি ওই বন্দর ৯৯ বছরের জন্য চীনের কাছেই ‘লিজ’ দিতে বাধ্য হয়েছে।
সামরিক খাতেও ইসলামাবাদের চীনা নির্ভরশীলতা আগের তুলনায় বাড়ছে। ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে চীন যে পরিমাণ অস্ত্র রপ্তানি করেছে, তার ৩৮ শতাংশের গন্তব্য ছিল পাকিস্তান—এমনটা জানিয়েছে থিঙ্কট্যাংক স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট। পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে সামরিক ঘাঁটি গড়ছে বেইজিং, এমন খবর দিয়েছে চীনা সংবাদমাধ্যম। বলা হচ্ছে, আফ্রিকার দেশ জিবুতির পর এটাই হতে যাচ্ছে চীনের দ্বিতীয় সামরিক ঘাঁটি যেটির অবস্থান চীনের নিজস্ব ভূখণ্ডের বাইরে। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সীমান্ত বিরোধে চীন ও পাকিস্তান একে অপরকে সমর্থন জুগিয়েছে।
তবে চীন-পাকিস্তানের মৈত্রীতে চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা। পাকিস্তানের মাটিতে চীনা প্রকল্পগুলোয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর এসব হামলা ঠেকাতে পুরোপুরি সফল হয়নি পাকিস্তান। তবে চীনকে খুশি রাখতে জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনা সরকারের নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে মুখ বন্ধ রেখেছেন ইমরান খান। এটা নিয়ে ইমরান খানের সমালোচনায় মুখর পশ্চিমারা।
তালেবানের পুনরুত্থান
বিদায়ী বছরে ইমরান খানের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে আফগানিস্তান পরিস্থিতি। দুই দশক ধরে চলা আফগান যুদ্ধের সমাপ্তিতে দেশটি থেকে গত আগস্টে বিদায় নেয় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী। কাবুলের ক্ষমতায় আসে তালেবান। এতে উভয়সংকটে পড়েছেন ইমরান খান। একদিকে তালেবানের পুনরুত্থানে পাকিস্তানেও উগ্রবাদ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে। অন্যদিকে বাইরের বিশ্বের সঙ্গে তালেবানের যোগাযোগের সংযোগস্থল হিসেবে ভূমিকা রাখতে হচ্ছে ইমরানের সরকারকে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জরিপকারী প্রতিষ্ঠান গ্যালাপের এক জরিপে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলে ৫৫ শতাংশ পাকিস্তানি সন্তুষ্ট। এ কারণে পাকিস্তানিদের একটি অংশ মনে করছে, কাবুলে তালেবানের উত্থান সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে জিহাদি কর্মকাণ্ড, সন্ত্রাসবাদ ও শরণার্থীর ঢল বাড়াতে পারে। দেশটির স্বল্পশিক্ষিত মানুষের মধ্যে উগ্রপন্থা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। দেখা দিতে পারে বাইরের শক্তির অযাচিত হস্তক্ষেপ।
বিশেষত কট্টরপন্থী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) নিয়ে ইমরান খান সরকারের উদ্বেগ বেশি। তালেবানের পুনরুত্থানের পর শক্তি বাড়িয়েছে টিটিপি। তালেবানের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেছিল সংগঠনটি। চলতি ডিসেম্বরে তা বাতিল করেছে তারা। টিটিপির অভিযোগ, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্রবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে তাদের সদস্যকে হত্যা করেছে। ইমরান খানকে রীতিমত রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে টিটিপি।
যা করছেন ইমরান খান
আফগানিস্তানের তালেবান সরকার এখনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি। তবে দ্রুত স্বীকৃতি দিতে বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইমরান খান। পশ্চিমা দাতা সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে আফগানিস্তানের আটকে দেওয়া তহবিলের অর্থ দ্রুত ছাড় করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে আফগানদের ‘চরম মানবিক সংকটের’ হাত থেকে বাঁচাতে চান ইমরান খান। আফগান পরিস্থিতি চীন ও পাকিস্তানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। পশ্চিমাদের বিপরীতে দুটো দেশই তালেবানকে প্রকাশ্যে–অপ্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সেনাবাহিনী বরাবর গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিদায়ী বছরে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) নতুন প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আহমেদ আনজুম। তিনি পাকিস্তানি সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার পছন্দের প্রার্থী।
ইমরান খান পাকিস্তানের পার্লামেন্টে একটি আইন পাস করাতে চান। সেখানে বলা হয়েছে, দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে বিদ্রূপ ও অপমান করা যাবে না। সশস্ত্র বাহিনীর বদনাম হয় এমন কাজ করা থেকে দূরে থাকতে হবে। কোনো বেসামরিক ব্যক্তি এমন কাজ করলে অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন। শাস্তি পেতে হবে। এসবের মধ্য দিয়ে ইমরান খান নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনীকে খুশি রাখার চেষ্টা করছেন বলে মত সংশ্লিষ্টদের। দেশটির ধর্মীয় শক্তিকে খুশি রাখতে ইমরান খান ঘোষণা দিয়েছেন, ধর্মীয় বিধিবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এমন কোনো আইন করবে না তাঁর সরকার।
বেনজির ভুট্টোর পর পাকিস্তানের সবচেয়ে ‘ক্যারিশমাটিক’ নেতা ধরা হয় ইমরান খানকে। অর্থনৈতিক সংকট, করোনা মহামারি, আফগানিস্তান পরিস্থিতি, চীনবিরোধী পশ্চিমা চাপ, ঘনিষ্ঠদের দুর্নীতির খবর—এসব কারণে তাঁর সেই আকর্ষণ হারাচ্ছে। চীনের কাঁধে ভর করে তিনি সংকট সামলানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দেশে সেনাবাহিনী ও ধর্মীয় শক্তির সঙ্গে ভারসাম্য রেখে চলেছেন। তাই আপাতদৃষ্টে তাঁর মসনদ আপাতত নিরাপদ বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু ২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে অনেক কিছু ঘটতে পারে। পাকিস্তানের অতীত ইতিহাস এমনটাই বলে।