শামীম ওসমান আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন: সিইসির বক্তব্য বোধগম্য নয়, বললেন সুজন সম্পাদক
নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, কিন্তু শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়- সিইসি নূরুল হুদার এমন বক্তব্যের ব্যাপারে সুজন সম্পাদক বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সিইসির বক্তব্য বোধগম্য নয়।
জনগণের স্বার্থে না কার স্বার্থে কমিশন কাজ করছে-এমন প্রশ্ন তুলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বলেছে, প্রার্থীদের আয়কর বিবরণীর তথ্য প্রকাশ না করে এবং অসম্পূর্ণ হলফনামা প্রকাশের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ভোটারদের বঞ্চিত করছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন নিয়ে ভার্চ্যুয়ালি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলে সুজন। সুজনের সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার প্রার্থীদের তথ্য তুলে ধরেন।
সুজন জানায়, ইসির ওয়েবসাইটে ৩ প্রার্থীর তথ্য না পাওয়ায় ১৮৬ জনের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি নাসিক নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনে ১৮৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিশ্লেষণ করে সুজন বলছে, এবার উচ্চশিক্ষিত প্রার্থীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নারায়ণগঞ্জেও ব্যবসায়ী প্রার্থীদের প্রাধান্য বেশি। ১২ শতাংশ প্রার্থীর আয়ের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রার্থীরা সম্পদের যে তথ্য দিয়েছেন, তা প্রকৃত চিত্র নয়।
সংবাদ সম্মেলনে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, হলফনামায় যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বিস্তারিত নয়। হলফনামার যে ছক, তা সঠিক নয়। এতে পরিবর্তন আনতে হবে। হলফনামাগুলো অত্যন্ত দুর্বল। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো এগুলো যাচাই- বাছাই করে দেখা। তথ্য গোপন করলে মনোনয়ন বাতিল করা। এই নির্বাচনে অনেক প্রার্থীই অনেক তথ্য দেননি। এগুলো অসম্পূর্ণ। এতে মনোনয়ন বাতিল হওয়ার কথা।
তিনি বলেন, এ তথ্যগুলোর উদ্দেশ্য হচ্ছে, জনগণ যেন জেনেবুঝে ভোট দিতে পারে। সব তথ্য না দিয়ে কমিশন অবশ্যই ভোটারদের বঞ্চিত করছে। এ তথ্যগুলো প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক।
ভোট গ্রহণে ইভিএম এখানো দুর্বল পদ্ধতি উল্লেখ করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এটা দিয়ে ফলাফল যেকোনো দিকে নিয়ে যেতে পারে। যেহেতু এটা কমিশনের হাতে আছে, তাই তারাও ফলাফল পাল্টে দিতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে সুজনের নির্বাহী সদস্য শাহনাজ হুদা এবং নারায়ণগঞ্জ সুজনের সম্পাদক ধীমান সাহাও বক্তব্য রাখেন।