অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা উচিত: সুজন সম্পাদক
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন প্রভাবিত করার নানা অভিযোগ আসছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের হয়রানি-গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনের উচিত এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের (ইসি)।
তিনি বলেন, নাসিক নির্বাচনের পরিবেশ এতদিন ভালোই ছিল। হঠাৎ পুলিশি তৎপরতায় তা নষ্ট হয়ে গেছে। নির্বাচনের আর কয়েকদিন বাকি। এতদিন প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছিল। এটাই নির্বাচনের পরিবেশ। তবে হঠাৎ পুলিশের ধরপাকড় শুরু হয়ে গেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের নির্বাচন সমন্বয়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, তার সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি, হয়রানি ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। না হলে আবারও নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হবে, যেটা আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য কোনোভাবেই ইতিবাচক হবে না। ইসির উচিত অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।
সুজন সম্পাদক বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী নিয়োগ করা হয়। অতীতে আমরা পুলিশি তৎপরতার মাধ্যমে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রভাবিত করতে দেখেছি। নারায়ণগঞ্জেও সেরকম অপতৎপরতা দেখা যাচ্ছে, যেটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য হুমকিস্বরূপ। অতীতে নারায়ণগঞ্জে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। সেই ঐতিহ্য নষ্ট করা ঠিক হবে না। আশা করব, নির্বাচন প্রভাবিত করার অপতৎপরতা থেকে দায়িত্বশীলরা নিবৃত থাকবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করলে তো ভালো; না হলে নির্বাচন কলুষিত হবে।