আ.লীগ নেতার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধার ওপর অতর্কিত হামলা
বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় মির্জা সেকান্দার আলম (৭১) নামের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে পা দিয়ে বুক মাড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১০ জানুয়রি) রাত ৮টার দিকে উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের কয়ারিয়া বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত মির্জা সেকান্দার আলম ওই এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে ।
মির্জা সেকান্দার আলমের স্বজনরা জানান, কয়ারিয়া বাজারের একটি সেলুনে সোমবার রাত ৮টার দিকে চুল কাটাচ্ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা সেকান্দার আলম। চুল কাটা শেষে সেলুন থেকে বের হতেই অতর্কিতভাবে নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা শহীদ খানের নেতৃত্বে ১৪-১৫ জন লোহার রড, পাইপ ও লাঠিসোটা নিয়ে তার ওপর হামলা করেন। এক পর্যায়ে সেকান্দার আলম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তার বুকে লাথি মারতে থাকেন হামলাকারীরা। এমনকি তার বুক পা দিয়ে মাড়ানো হয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখেন হামলাকারীরা।
হামলাকারীদের মধ্যে রাশেদ খান, মাসুদ খান, মাসুম খান, ফারুক তালুকদার, খলিল খান নামের পাঁচজনকে চিনতে পেরেছেন সেকান্দার আলম। পরে তাকে সড়কের পাশে ফেলে রেখে চলে যান হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাতেই গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
স্বজনদের অভিযোগ, হামলার সময় কয়ারিয়া বাজারে টহলে এসেছিল একদল পুলিশ। তাদের অদূরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা সেকান্দার আলমকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি পুলিশ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সেকান্দার আলমের এক্স-রে রিপোর্টে দেখা গেছে, তার ডান হাতের কব্জি ভেঙে গেছে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা জখম হয়েছে। বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছিলেন।
মির্জা সেকান্দার আলমের বড় ছেলে সাঈদ মাহমুদ তারেক বলেন, বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো না। এ কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।
কী কারণে হামলা চালানো হয়েছে জানতে চাইলে সাঈদ মাহমুদ তারেক বলেন, ‘এখনও আমাদের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। ইউপি মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ খানসহ তার সহযোগীরা বাবার ওপর হামলা করেছেন।’