শান্ত হচ্ছে কাজাখ, সংস্কারের নির্দেশ প্রেসিডেন্টের
কয়েক দিনের সহিংসতার পর কাজাখস্তানে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে শান্ত হয়ে আসছে। তবে রোববারও কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে।
এমনকি বিক্ষিপ্তভাবে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। এরই মধ্যে বিক্ষোভে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি ও প্রশাসনিক ভবনগুলোর সংস্কার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট তোকায়েব।
শনিবার প্রসিকিউটর জেনারেল, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির চেয়ারম্যান এবং স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই নির্দেশনা দেন। সেই সঙ্গে আজ সোমবার জাতীয় শোক ঘোষণা করেন। এদিকে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক সপ্তাহের বিক্ষোভে ১৬৪ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ছয় হাজার জনকে আটক করা হয়েছে।
সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ১৮ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত এক হাজার ৩০০ জন। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের। শতাধিক ব্যাংক ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট করা চালানো হয়েছে।
মধ্য এশিয়ার দেশটিতে তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত সপ্তাহে (রোববার) বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘাত হয়। বিক্ষোভকারীদের সন্ত্রাসী অভিহিত করে তাদের দমনে অতিরিক্তি পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেন প্রেসিডেন্ট তোকায়েব। সেই সঙ্গে দুই সপ্তাহের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন যা আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। বৃহস্পতিবার মস্কো নেতৃত্বাধীন সিএসটিও সামরিক জোটের সেনা মোতায়েন করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, দেশটির বৃহত্তম শহর আলমাতিতে নিহত হয়েছেন ১০৩ জন। এখানে বিক্ষোভকারীরা সরকারি ভবন দখল করে এবং কয়েকটিতে অগ্নিসংযোগ করেছে। দেশটির
একটি শিক্ষা অধিকার সংস্থা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে চার বছর বয়সি এক মেয়ে শিশু রয়েছে।
জেনেভায় রুশ-মার্কিন বৈঠক : ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনার উপস্থিতি নিয়ে উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসছে রাশিয়া। আজ সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আলোচনায় বসার কথা দেশ দুটির কর্মকর্তাদের। এই আলোচনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে ইউক্রেন ইস্যু। এছাড়া উভয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও সম্ভাব্য সামরিক মহড়া নিয়েও কথা বলবেন কর্মকর্তারা। আলোচনার আগে রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াকভ বলেছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে তার দেশ কোনো ছাড় দেবে না। খবর এএফপির।
পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হতে মরিয়া ইউক্রেন। তবে এতে নারাজ রাশিয়া। গত বছর শেষের দিক থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে লাখো সেনার সমাবেশ ঘটিয়েছে মস্কো। তাদের দাবি, ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্ত করা যাবে না। ইউরোপের পূর্ব দিকে আর বিস্তার ঘটানো যাবে না ন্যাটোর। আজ সোমবার থেকে শুরু হয়ে জেনেভায় সপ্তাহব্যাপী চলবে কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনা। এতে ন্যাটো ও অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপের (ওএসসিই) সঙ্গে বৈঠক করবে রাশিয়া।