কাজাখস্তানে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়ে মার্কিন সমালোচনা জবাব দিল রাশিয়া
কাজাখস্তানে সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে মার্কিন সমালোচনা জবাব দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সমালোচনার জবাবে বলেছে, যৌথ নিরাপত্তা চুক্তির আওতায় গঠিত সংস্থা ‘সিএসটিও’-এর (কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অরগানাইজেশন) আওতায় কাজাখস্তানে শান্তি মিশন চালানো হচ্ছে। রাশিয়া ও সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে হওয়া চুক্তির আওতায়ই রাশিয়া তাদের সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে ইয়েনি শাফাক।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে লেখা এক পোষ্টে বলেন, কাজাখস্তানের সরকারের অনুরোধে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ দেশটিতে ‘সিএসটিও’-এর আওতায় যে শান্তি মিশন পাঠিয়েছে তা সম্পূর্ণ বৈধ।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সমালোচনার জবাবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এমন কথা বলেন। এর আগে কাজাখস্তানকে সতর্ক করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, কাজাখস্তান থেকে রুশ সেনাবাহিনীকে ফেরত পাঠানো কঠিন হবে।
তিনি আরো বলেন, পূর্বের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন। যখন রাশিয়ানরা আপনার দেশে প্রবেশ করবে, তখন তাদের ফেরত পাঠানো কঠিন হবে।
ব্লিঙ্কেনের এমন কথার জবাবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, তার কথাবার্তা হলো অভদ্র জোকারের মতো। কারণ, যখন যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশে যায়, তখন ওই দেশের মানুষদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, মার্কিন সেনাবাহিনী যে দেশে যায় সেখানে ধর্ষণ ও লুটতরাজ চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের এসব কর্মকাণ্ড শুধু বর্তমানের ঘটনা নয়, অতীতেও তারা একই কাজ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার তিন শ’ বছরের ইতিহাস হলো ধর্ষণ ও লুটতরাজের ইতিহাস এবং তার ভুক্তভোগী হলেন উত্তর আমেরিকা মহাদেশের রেড ইন্ডিয়ান, কোরিয়ান, ভিয়েতনামী, ইরাকি, পানামানিয়ান, যুগোস্লাভ, লিবিয়ান ও সিরিয়ান জনগণ। এছাড়াও আরো অনেক দেশ আছে যেখানে মার্কিনিরা অনাহূত মেহমান হয়ে এসে আর যায়নি এবং ওই দেশগুলোর মানুষকে দুর্ভাগ্যের সাগরে নিপতিত করেছে।
সূত্র : ইয়েনি শাফাক