হাসপাতাল উদ্বোধন নিয়ে ফের মোদী-মমতা বিরোধ

0

মোদী-মমতা যেখানে, সেখানে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়াবে একথা ভারতের সবাই জানেন। ফলে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের পর ফের আরেকবার মুখোমুখি হয়েছিলেন এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) অনেকদিন পর এক কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ছিল কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় হাসপাতাল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে জানান, আগেই এর উদ্বোধন করেছে রাজ্য। আমি এখানে প্রধানমন্ত্রীর জন্য উপস্থিত আছি। কারণ বাংলার একটি হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাকে দু’বার ফোন করেছিলেন। বাংলার উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী আগ্রহ দেখিয়েছেন, তার জন্য ধন্যবাদ।

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই হাসপাতাল গড়তে ২৫ শতাংশ অর্থ এবং ১১ একর জমি দিয়েছে রাজ্য। হাসপাতালের রেকারিং খরচও রাজ্য দেবে।

এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সামনে পেয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়েরর নামে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, সরকারি তত্ত্বাবধানে বেসরকারি সংস্থায় কর্মকর্তা নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল প্রশ্ন করেছেন, বিস্তারিত কাগজ দেখতে চাইছেন। কিন্তু উনি জানেন না কেন্দ্রের পরামর্শ মেনেই নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য।

মমতা আরও বলেন, আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু কেন্দ্রের পরামর্শ আমরা নব্বই শতাংশ মেনে চলার চেষ্টা করি। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, রাজ্য ঠিকমত ভ্যাকসিন পাচ্ছে না। সেই দিকটা দেখতে। কোভিড মোকাবিলায় ৪০ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ এখনও পায়নি রাজ্য।

হাসপাতাল উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, এই হাসপাতাল বাংলার অনেক মানুষের সুবিধা করবে। কলকাতা শুধু নয়, আশেপাশের জেলাগুলিও উপকৃত হবে। বিশেষ করে দুঃস্থদের ক্যান্সার চিকিৎসায় এই হাসপাতাল বড় ভূমিকা নেবে।

উল্লেখ্য, প্রায় ১ হাজার কোটি রুপি ভ্যয়ে ৭৫০ শয্যার এই অত্যাধুনিক ক্যান্সার হাসাপাতাল রাজারহাটে তৈরি হয়েছে।

এরপর প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানের মধ্যেই ঘোষণা করেন, আজ (৭ জানুয়ারি) ভারত ১৫০ কোটি টিকার ডোজের মাইলফলক ছুঁয়েছে। তাও এক বছরের কম সময়ে এই টিকাকরণ হয়েছে। এটা আত্মনির্ভরতা, আত্মগৌরবের প্রতীক। এরপরই মমতার টিকা না পাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে বাংলাকে দেড় হাজার ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে। ১১ কোটি টিকার ডোজ পেয়েছে বাংলা।

তবে সরকারি কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীকে ভিন্ন বিষয় অভিযোগ করা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। এর আগে গত বছর ২৩ জানুয়ারি নেতাজীর জন্মদিনে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে সরকারি অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রীর সামনেই প্রকাশ্যে মঞ্চ ছেড়ে চলে যান মমতা। সেদিন দর্শকদের মধ্য থেকে জয় শ্রী রাম ধ্বনি উঠেছিল। তারপরই ক্ষোভে মঞ্চ ছাড়েন দিদি। তবে মাঝে তারা একাধিক বৈঠক করলেও অনেকদিন পর কোনো কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠানে একসঙ্গে ছিলেন মোদী-মমতা।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com