লন্ডনে প্রতি ১০ জনের ১ জন কোভিড পজিটিভ

0

সপ্তাহ ঘুরে গেল, নতুন বছরে প্রতিদিন গড়ে ২ লক্ষ সংক্রমণ ধরা পড়ছে ব্রিটেনে। এ দেশের ‘অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স’ (ওএনএস) জানিয়েছে, এই মুহূর্তে দেশে প্রতি ১৫ জনের মধ্যে ১ জন কোভিড-আক্রান্ত।

রাজধানী লন্ডনের পরিস্থিতি আরো খারাপ। ওএনএস-এর কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, এই শহরের প্রতি ১০ জন বাসিন্দার মধ্যে ১ জন করোনা-পজিটিভ। তাদের বক্তব্য, ‘যে কোনো বয়সে সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে কিশোর-কিশোরী এবং সদ্য প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে, এমন ছেলেমেয়েরা।’ এর সাথে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তিও বাড়ছে। তবে বয়স্করাই বেশি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও এ দিন পার্লামেন্টের অধিবেশনে জানিয়েছেন, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত, এত দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ঘটেনি কখনো। যদিও এর মাঝেই দেশের ভিতরে পর্যটনের সময়ে নিয়মিত করোনা পরীক্ষার যে নিয়ম রয়েছে, তা লঘু করেছেন বরিস। যে সব পর্যটকের টিকাকরণ সম্পূর্ণ রয়েছে, শুক্রবার থেকে তাদের আর ব্রিটেনের উড়ান ধরার আগে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে না। তা ছাড়া, পরীক্ষা করাতে হলেও আরটি-পিসিআর করাতে হবে না, ল্যাটেরাল ফ্লো টেস্ট করালেই হবে। শুধুমাত্র যাঁদের টিকা নেওয়া নেই, তাদের নির্দিষ্ট দিন অন্তর পরীক্ষা করাতে হবে। বিচ্ছিন্নবাসেও থাকতে হবে।

দিনে যখন ২ লক্ষ নতুন সংক্রমণ, তখন সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ অনেকেই। বরিস শুধু বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, এই বিপুল ওমিক্রনের ঢেউয়ের মধ্যেও আমরা ঠিক অতিক্রম করতে পারব পথ। তার জন্য পরিমিত ও যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

মহামারীতে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিটেন। দেড় লক্ষ মৃত্যু। ১ কোটি ১১ লক্ষের বেশি সংক্রমণ। সামগ্রিক ক্ষতির তালিকায় ব্রিটেনের পরেই রয়েছে ফ্রান্স। তবে এই মুহূর্তে ব্রিটিশদের থেকেও খারাপ পরিস্থিতিতে ফরাসিরা। ফ্রান্সের জনস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ২৫২ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। সরকারি মুখপাত্র গাব্রিয়েল আতাল জানিয়েছেন, দু’সপ্তাহে তিন গুণ হয়ে গিয়েছে সংক্রমণ। প্রতি এক লক্ষ বাসিন্দার মধ্যে ১৮০০ জন সংক্রমিত ফ্রান্সে।

ডেল্টার থেকে ওমিক্রন কম মারণশক্তি রাখে বলার পরেও বিশেষজ্ঞেরা সতর্ক করেছিলেন— অল্প শতাংশ লোকের যদি বাড়াবাড়ি হয়, সেটাও বিপুল হবে ওমিক্রন-ঢেউয়ে। ঠিক তাই ঘটছে ফ্রান্সে। হাসপাতালে শয্যা ফাঁকা নেই। আইসিইউ উপচে যাচ্ছে রোগীতে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এখনই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রাথমিক ক্ষমতার ৭০ শতাংশ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন আইসিইউয়ে।

সরকারের বক্তব্য, ওমিক্রন সংক্রমণে বাড়াবাড়ি হওয়ার আশঙ্কা ৯০ শতাংশ কমিয়ে দিচ্ছে টিকার তৃতীয় ডোজ়। কিন্তু টিকা নিতেই অনাগ্রহী দেশের একাংশ। আইসিইউয়ে যাঁরা ভর্তি রয়েছেন, তাদের বেশির ভাগের টিকা নেয়া নেই। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সরকার। গতকাল প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রায় হুমকির সুরে বলেছেন, ‘যাঁরা টিকা নেবেন না, তা জীবন দুর্বিসহ করে দেয়া হবে।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com