ক্যাপিটল হিল হামলার প্রথম বার্ষিকীতে বক্তব্য রাখবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আজ বৃহস্পতিবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের গত বছরের ক্যাপিটল হিল হামলার ঐতিহাসিক তাৎপর্য সম্পর্কে তার বক্তব্য রাখবেন।
হামলার এক বছরের বার্ষিকীতে ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসের সঙ্গে ক্যাপিটলের স্ট্যাটুয়ারি হল থেকে বাইডেন ভাষণ দেবেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেনসাকি সাংবাদিকদের বলেন, “ঐদিন যা ঘটেছে সেই সত্যি ঘটনার কথা বলবেন প্রেসিডেন্ট। কোন মিথ্যা তথ্য তিনি দেবেন না যেটি কেউ কেউ তখন থেকে ছড়িয়েছে এবং আইনের শাসন ও আমাদের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার জন্য যে বিপদ সৃষ্টি করেছে।তিনি ৬ জানুয়ারীর বীরদের স্মরণ করবেন, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহসী পুরুষ ও নারীদের যারা সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে এবং রাজধানী ও সেখানে থাকা মানুষের জীবন রক্ষার জন্য লড়াই করেছিলেন। তাদের প্রচেষ্টার কারণে, আমাদের গণতন্ত্র উচ্ছৃঙ্খল জনতার আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পেরেছিল এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেওয়া ১৫০ মিলিয়নেরও (১৫ হাজার কোটি) বেশি লোকের পছন্দের প্রার্থী কংগ্রেসে নিবন্ধিত হয়েছিলেন।”
ট্রাম্প-পন্থী উচ্ছৃঙ্খল জনতা কংগ্রেসে এমন সময় হামলা চালায় যখন ভিতরে আইনপ্রণেতারা ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যায়ন করার জন্য মিলিত হয়েছিলেন। ঐদিন ক্যাপিটল হিলে দায়িত্বে থাকা ক্যাপিটল পুলিশ অফিসারদের বিপরীতে বিপুল সংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল মানুষের সমাগম হয়। তারা ঐতিহাসিক ভবনটি ভাংচুর করে, জানালা ভাংচুর করে। হামলার কারণে আইন প্রণেতারা নিজেদের জীবন বাঁচাতে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন।
কয়েক ঘন্টা পর কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সামরিক বাহিনী ক্যাপিটলের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার পর কংগ্রেসের সদস্যরা তাদের কাজ শেষ করতে এবং বাইডেনের নির্বাচনী জয় প্রত্যায়ন করে তার কয়েক সপ্তাহ পর আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণের জন্য সবকিছু প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
হামলার ঐ দিনে চারজন মারা যান, এবং একজন ক্যাপিটল পুলিশ অফিসার যিনি পরের দিন মারা যান। উচ্ছৃঙ্খল জনতা কয়েক ডজন অফিসারকে আহত করেছে এবং হামলার পরের মাসগুলিতে চারজন অফিসার আত্মহত্যা করেছেন।