জানুয়ারিতে ন্যাটো-রাশিয়া কাউন্সিল বৈঠকের চেষ্টা
ন্যাটো জোটের একজন মুখপাত্র রোববার জানান, ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ আগামী মাসে ন্যাটো-রাশিয়া কাউন্সিল বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করছেন এবং বৈঠকে মস্কোর উপস্থিতি নিশ্চিৎ করতে যোগাযোগ করেছেন।
স্টলটেনবার্গ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কয়েকবার ২০০২ সালে গঠিত এই সংগঠনের মাধ্যমে মস্কোর সাথে আলাপ শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যে সংগঠনটি ইউক্রেনের সংঘাতের কারণে বর্তমানে নিষ্ক্রিয় রয়েছে। তবে রুশ কর্তৃপক্ষ তার ডাকে অনুকূল সাড়া দেয়নি।
নাম জানানো হবে না, এই শর্তে ন্যাটো মুখপাত্র বলেন, ১২ জানুয়ারির বৈঠকের ব্যাপারে আমরা রাশিয়ার সাথে যোগাযোগ রাখছি।
ন্যাটো বরাবরই ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়া দখল করে নেয়াকে ধিক্কার এবং পার্শ্ববর্তী দেশটির আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মস্কোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলো বহু দিন ধরে পূর্বাঞ্চলীয় ইউক্রেনে রুশ-পন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সরাসরি সামরিক সহায়তা দেবার জন্য ক্রেমলিনকে দোষারোপ করেছে। ২০১৪ সালে মস্কো ক্রাইমিয়া কুক্ষিগত করার পরপরই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দুটি অঞ্চল কব্জা করে নেয়।
রাশিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন দাবি করেছেন যে, গণহত্যামূলক সংঘাতে ১৩ হাজারের বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছিল।
ক্রেমলিন ক্রমশঃ জোর দিয়ে বলছে যে পশ্চিমা দেশগুলো এবং ন্যাটো রাশিয়ার সীমান্তের বিপজ্জনক রকম কাছে অনধিকার চর্চা করেছে।
এ মাসের শুরুতে মস্কো পশ্চিমের প্রতি কতগুলো ঢালাও নিরাপত্তা দাবি করে জানায় যে, ন্যাটো যেন নতুন কোনো সদস্য গ্রহণ না করে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোতে ঘাঁটি স্থাপনে বাধা দেয়। মস্কো তাদের দাবি উত্থাপনের পর স্টলটেনবার্গের প্রস্তাবিত ১২ জানুয়ারির বৈঠকটি হবে প্রথম।
একই দিন ব্রাসেলসে ন্যাটোর ৩০টি সদস্য রাষ্ট্রের সামরিক প্রধানদের দুদিনের আলোচনা অনুষ্ঠিত হবার কথা।
বৃহস্পতিবার স্টলটেনবার্গ রাশিয়া সীমান্ত জুড়ে সামরিক মোতায়েন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ক্রেমলিনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী বাগাড়ম্বর বন্ধের অনুরোধ জানান।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা