লিবিয়া উপকূলে ২৮ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার
অভিবাসীবাহী একটি নৌকা ডুবির ঘটনায় লিবিয়ার পশ্চিম উপকূল থেকে ২৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিশ্বের শীর্ষ ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসী পথ হিসেবে বিবেচনা করা হয় ভূমধ্যসাগরকে। কারণ এই পথ পাড়ি দিয়েই আফ্রিকার দেশগুলো থেকে ইউরোপে যাওয়া চেষ্টা করেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। সাম্প্রতিক দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা ত্রিপোলি থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে আল-আলুসের সমুদ্র সৈকতের দুটি ভিন্ন জায়গা থেকে অভিবাসীদের ২৮টি মরদেহ উদ্ধার করেন। তাছাড়া তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করতেও সক্ষম হন তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্ধার করা মরদেহগুলোতে পচন ধরে গেছে। অর্থাৎ বেশ কয়েক দিন আগেই নৌকাটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ডুবে যায়। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়। লিবিয়ার গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, উপকূলের কাছে ব্যাগের মধ্যে মরদেহগুলো সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে।
এক দশকের বেশি সময় ধরে সংঘাত ও অনাচারে জর্জরিত লিবিয়া। আফ্রিকান ও এশিয়ান অভিবাসীদের কাছে ইউরোপে পৌঁছানোর জন্য একটি মূল প্রস্থান পয়েন্ট হয়ে উঠেছে দেশটি।
বিশ্ব অভিবাসী সংস্থা জানিয়েছে, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে এই এলাকায়। যাতে প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক অভিবাসী। সাম্প্রতিক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর এ বছর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫শ জনে। একই সময়ে ৩০ হাজার অভিবাসী বাধার সম্মুখীন হয়ে লিবিয়ায় ফিরে এসেছেন বলেও জানায় সংস্থাটি।
জানা গেছে, অভিবাসী ও শরণার্থীদের জন্য ইউরোপে প্রবেশের অন্যতম প্রধান পথ হলো গ্রিস। সংঘাত ও দারিদ্র্যতার কারণে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার অভিবাসন প্রত্যাশীরা উন্নত জীবনের আশায় ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।