বিশ্বব্যাপী আরও ১৫০০ ফ্লাইট বাতিল
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুরূহ হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বড়দিনের উৎসবে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শত শত ফ্লাইট। সবশেষ রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বিশ্বব্যাপী আরও ১৫০০ ফ্লাইট বাতিল হলো। উৎসবকে কেন্দ্র করে যাদের ভ্রমণ করার পরিকল্পনা ছিল বেশি বিপদে পড়েছেন তারা। বিমানবন্দরগুলোতে দেখা গেছে, যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ফ্লাইটঅ্যায়র ডেটা ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, বড়দিনের উৎসবকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৯০০টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে চীন ও মার্কিন এয়ারলাইনসগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সোমবার আরও বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, ওমিক্রনের জেরে কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে। তাই এমন সিদ্বান্ত নিতে হচ্ছে। এরই মধ্যে ফ্লাইটের অনেক ক্রুর করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফ্লাইটের অনেক কর্মীকে বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে থাকতে হচ্ছে বলেও জানান তারা।
বিভিন্ন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, করোনার অন্যান্য ধরনের তুলনায় ওমিক্রনের তীব্রতা অনেক কম। তবে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম বলে বিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্রে রোববার ৪৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন কোম্পানিগুলো হলো ডেল্টা, ইউনাইটেড ও জেটব্লু। দেশটিতে বর্তমানে ওমিক্রনের ব্যাপক বিস্তার দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে একই দিনে চীন ইস্টার্নের ৩৫০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। চীনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর শিয়ান বিমানবন্দরের প্রায় ১০০টি ফ্লাইট বাতিলের খবর পাওয়া গেছে। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে রোববার ৫৬টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
গত ২৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়। এরপর আফ্রিকান দেশগুলোর ওপর একের পর এক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অসংখ্য দেশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনার নতুন এই ধরনে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওমিক্রনে এমন কিছু মিউটেশন বা রূপান্তর ঘটেছে, যার ফলে এর বিরুদ্ধে প্রচলিত টিকাগুলো কার্যকর না-ও হতে পারে। তবে বিধিনিষেধের বিষয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় পদক্ষেপ নিতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি।