একের পর এক চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ: অস্থির আর ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে দেশের সমাজব্যবস্থা

0

অস্থির আর ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে দেশের সমাজব্যবস্থা। প্রতিদিনই প্রকাশ্যে আসছে নৃশংসতার নতুন নতুন ঘটনা। হত্যা, নির্যাতনের পাশাপাশি একের পর এক ঘটছে চাঞ্চল্যকর লোমহর্ষক ধর্ষণকাণ্ড। দেশের সর্বত্র পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে এখন চলছে পরিবার নিয়ে বেড়ানোর ধুম। এমনই পরিবেশে রাজধানীর এক দম্পতি তাদের আট মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে বুধবার বেড়াতে যায় সৈকতনগরী কক্সবাজার; কিন্তু সেখানে তুচ্ছ কথাকাটাকাটির জেরে তিন যুবক গৃহবধূটিকে স্বামীর সামনে থেকে ধরে আলাদা স্থানে নিয়ে দু’দফা ধর্ষণ করে। এ যেন এক অরাজকতা। অন্য দিকে ধর্ষকদের কবল থেকে রক্ষা পায়নি বান্দরবানের লামা ও ঢাকার আশুলিয়ার দুই অন্তঃসত্ত্বাও। বুধবার রাতে লামার রূপসীপাড়ার বৈদ্যভিটা এলাকায় প্রবাসীর গর্ভবতী স্ত্রীকে দুর্বৃত্তরা ঘরের ভেতর বেঁধে রাতভর ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ সকালে রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। এ ছাড়া আশুলিয়ায় তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বাংলাদেশে ধর্ষণ ক্রমবর্ধমান সামাজিক সমস্যা। দেশে প্রতি এক লাখ নারীর মধ্যে প্রায় ১০ জন ধর্ষণের শিকার হন। ২০২১ সালে পাওয়া এক হিসাবে দেখা গেছে যে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পূর্ববর্তী পাঁচ বছরে ৩০ হাজার ২৭২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ক্রমবর্ধমান যৌন নিগ্রহ ও ধর্ষণের জন্য মানবাধিকার কর্মীরা বাংলাদেশে দীর্ঘ দিন ধরেই বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে দায়ী করে আসছেন। বেশির ভাগ ধর্ষণের মামলায় কোনো শাস্তি হয় না। ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সহিংসতার যত মামলা হয় তার সর্বোচ্চ চার থেকে পাঁচ শতাংশ মামলায় আসামিরা শাস্তি পায়। আর শুধু ধর্ষণের হিসাব করলে এ হার আরো অনেক কম হবে বলে জানান পর্যবেক্ষকরা।

কক্সবাজারে পর্যটক গৃহবধূকে গণধর্ষণ
কক্সবাজার অফিস জানায়, কক্সবাজার বেড়াতে এসে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। স্বামী ও আট মাসের সন্তানকে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিন যুবক। খবর পেয়ে একটি হোটেল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে র্যাব।

এ দিকে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিন ধর্ষক ও তাদেরকে সহযোগিতাকারী ব্যক্তিকে শনাক্ত করা গেছে বলে র্যাব-১৫-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। শনাক্ত দুই যুবক হলোÑ কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম ও আব্দুল জব্বার জয়া। আরেকজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আশিক চার মাস আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। সে ছিনতাই, মাদকসহ একাধিক মামলার আসামি। এ ঘটনায় হোটেল জিয়া গেস্ট ইনের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে র্যাব।

এর আগে ঢাকা থেকে সপরিবারে কক্সবাজারে ভ্রমণে এসে গণধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূ। তার অভিযোগ, শহরের লাবণী পয়েন্ট থেকে তুলে নিয়ে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি ও হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে দুই দফা ধর্ষণ করে তিন যুবক। খবর পেয়ে কক্সবাজার হোটেল- মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের হোটেল থেকে বুধবার রাত দেড়টার দিকে তাকে উদ্ধার করে র্যাব। ওই নারী জানান, বুধবার সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার আসেন। ওঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে। সেখান থেকে বিকেলে যান সৈকতের লাবণী পয়েন্টে। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সাথে তার স্বামীর ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন। এর পর তাকে নেয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান-স্বামীকেও হত্যা করা হবে জানিয়ে রুম বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। ওই নারী জানান, জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে ডেকে এক যুবকের সহায়তায় কক্ষের দরজা খুলেন তিনি। তার পর ফোন দেন ৯৯৯-এ। পুলিশ তাকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেয়। তারপর অন্য একজনের সহযোগিতায় কল দেন র্যাবকে। তারা এসে তাকে উদ্ধার করে। তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয় পর্যটন গলফ মাঠ এলাকা থেকে।

ওই মহিলার স্বামী বলেন, সামান্য ধাক্কা লাগার কারণে তারা আমার এত বড় ক্ষতি করল। অপরিচিত বলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গেলেও সে জায়গা ও দুর্বৃত্তদের চিনতে পারিনি। ‘বারবার হাতে-পায়ে ধরলেও তারা আমার স্ত্রীকে ফেরত দেয়নি। বেড়াতে এসেছিলাম বেতন পাওয়ার খুশিতে। এখন স্ত্রীর অবস্থা ভালো নয়, তাকে নিয়ে চিন্তায় আছি।’

কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে স্বামী-সন্তান ও গৃহবধূকে উদ্ধার করি। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিন ধর্ষক ও ধর্ষণে সহযোগিতাকারী ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন। মামলার পর পরই জড়িতদের বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করা হবে। মেহেদী হাসান আরো বলেন, ওই নারীকে উদ্ধারের পরপরই কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার বলেন, এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে।

কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস জানান, ভুক্তভোগীকে বৃহস্পতিবার সকালে সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা হবে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, একজন নারী পর্যটক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে শুনেছি। থানায় মামলা হলে তদন্ত করে অপরাধীকে ধরার চেষ্টা করব।

বান্দরবানে অন্তঃসত্ত্বাকে রাতভর ধর্ষণ
বান্দরবান সংবাদদাতা জানান, বান্দরবানের লামায় এক প্রবাসীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে দুর্বৃত্তরা রাতভর ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা ওই ঘরে লুটপাট চালায় বলেও জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে উপজেলার রূপসীপাড়ার বৈদ্যভিটা এলাকায়। পুলিশ সকালে গিয়ে রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঘরে প্রবাসীর স্ত্রী ও তার দুই শিশু ছিল। রাত দুইটার দিকে টয়লেটে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হলে দুর্বৃত্তরা মুখ চেপে ধরে গৃহবধূর। তার দুই শিশুকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে রাতভর নির্যাতন ও মারধর করা হয়। দুর্বৃত্তরা বাড়ির আলমারি, ওয়ারড্রব ও শোকেস ভেঙে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। সকালে পার্শ^বর্তী লোকজন ঘটনা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। লামা থানার উপপরিদর্শক মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা জানান, ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় রশি কেটে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। তাকে জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। ওসি শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ধর্ষিতা অভিযোগ করেছেন যে এ ঘটনায় তার দেবর জড়িত রয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আশুলিয়ায় অন্তঃসত্ত্বা ধর্ষণে গ্রেফতার
আশুলিয়া (ঢাকা) সংবাদদাতা জানান, আশুলিয়ায় তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সাব্বিরকে (২১) মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪। গত বুধবার রাতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানাধীন জামালদি বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র্যাব-৪ এর অপারেশন অফিসার মো: সাজেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ১১ নভেম্বর আশুলিয়ার বাইপাইল শান্তিনগর এলাকায় অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী ধর্ষণের শিকার হন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী আশুলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি সাব্বির এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। যার ফলে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার সাব্বির ওই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।
বিচার নিয়ে অভিযোগ : মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিস কেন্দ্রের (আসক) হিসাব অনুযায়ী ২০১৯ সালে এক হাজার ৪১৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিলো ৭৩২ জন। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে দ্বিগুণ, যা ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। এছাড়া গণধর্ষণের ঘটনাও অহরহ ঘটে থাকে।

এছাড়া ২০১৭ সালে ধর্ষণের শিকার হন ৮১৮ জন নারী। ২০১৯ সালে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৭৬ জনকে। আর আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন ১০ জন নারী।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ধর্ষণ সংক্রান্ত অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় জটিলতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের মতে এইসব ধর্ষণ বা গণধর্ষণের ঘটনাগুলোর সঙ্গে ক্ষমতাশালীরা জড়িত থাকায় তাদের বিচার হয় না। আবার অনেক সময় পুলিশ এইসব ক্ষমতাশালীদের গ্রেফতারও করে না। যারা রাজনৈতিকভাবে বা আর্থিকভাবে ক্ষমতাশালী তাদের কেউ কেউ গ্রেফতার হলেও জামিনে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। ফলে এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে সমাজে খুব ভালো বার্তা যাচ্ছে না। এই কারণে এদের থামানোও যাচ্ছে না। এই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে অবশ্যই অপরাধ কমে যাবে।

ফুলবাড়ীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) সংবাদদাতা জানান, দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে মো: রিফাত হোসেন (২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ।

গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে আড়াইটার মধ্যে ফুলবাড়ী উপজেলার ৫নং খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব নারায়ণপুর ধানক্ষেতের গভীর নলকূপের পাশে ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রেফতারকৃত মো: রিফাত হোসেন পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের মো: জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে এবং এক সন্তানের জনক।

থানা পুলিশ ও ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার সময় থেকে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী তার মেয়েকে বাড়িতে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ির লোকজনসহ প্রতিবেশীরা দীর্ঘ সময় ধরে মেয়েকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাত আড়াইটার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পূর্ব নারায়ণপুর ফসলি জমির মাঠে মঞ্জুরুল ইসলামের গভীর নলকূপ ঘরের পাশে নির্জন স্থান থেকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পায়। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ মো: রিফাত হোসেনকে গ্রেফতার করে।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার বিষয়টি জানার পরপরই পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে রিফাত হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গত বৃহস্পতিবার দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটক রিফাত হোসেনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com