৪ বছর পর ফের বাজবে লন্ডনের বিগ বেন!
ফের বাজবে লন্ডন বেল। দীর্ঘ চার বছর পর ২০২২ সালের সূচনায় ব্রিটেনের ঐতিহ্যবাহী ও বিশ্ববিখ্যাত বিগ বেন ফের নিজের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসবে বলে জানা গেছে। ২০১৭ সাল থেকে নীরব থাকার পর লন্ডনের আইকনিক বিগ বেন ঘড়ি টাওয়ারে অবশেষে আবার বাজবে ঘণ্টা।
এই ঘড়ির টাওয়ারটি এলিজাবেথ টাওয়ার নামেও পরিচিত। ২০২২ সালের সূচনালগ্নে মোট ১২ বার ঘণ্টা বাজিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে বলে জানা গেছে। ২০১৭ সাল থেকে এই টাওয়ারের মেরামতের কারণে শেষবার সেই বছরই ঘণ্টা বেজেছিল। বর্তমানে সংস্কারের কাজ প্রায় শেষ। তাই ফের একবার চালু হতে প্রস্তুত এই বিশ্ব বিখ্যাত ঘড়ির টাওয়ারটি।
প্রতিবছর নববর্ষের অন্যতম সেরা আকর্ষণ এটি। ৯৬ মিটার দীর্ঘ এই বিগ বেন টাওয়ার দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করেন ব্রিটেনে। খবর অনুযায়ী, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আবারও ঘণ্টা কানে আসবে, মানুষ উল্লাস প্রকাশ করতে পারবে, এমনটাই আশা ঘড়ির সংস্করণের সংস্থার। সম্পূর্ণ সংস্কার করা ঘড়িটি এই বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জনসাধারণের জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত। ইউকে পার্লামেন্টের বিবৃতি অনুসারে, এটাই শেষবারের মতো অস্থায়ী বৈদ্যুতির ব্যবস্থার মাধ্যমে বেজে উঠবে।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম ঘড়িটি সংস্কার করা হয়েছে এমনটা নয়। ১৮৫৯ সালে ৩১ মে, নিও-গথিক স্টাইলের ঘড়ির টাওয়ারটি অগাস্টাস পুগিন দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছিল। ১০০ বছরের বেশি সময় পুরনো ঘড়ির টাওয়ারটি অবশেষে আধুনিক জিনিসপত্র দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে। ১৫৭ বছর ধরে নিয়মিত ১৩.৭ টন ওজনের ঘড়িটি দিনে চার ঘণ্টার ব্যবধানে বেজে উঠত। ঘন্টার কাটাটি বন্দুকের ধাতু দিয়ে তৈরি, যার ওজন ৩০০ কেজি। অন্যদিকে মিনিটের কাটাটির চেয়ে ৩০০ গুণ বেশি ভারী। ১৯৪১ সালের মে মাসে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বিমান হামলায় এটি বেশ খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তারপরেও বন্ধ ছিল বেশ কয়েকবার এই ঐতিহাসিক ঘড়িটি। ১৯৭৬ সালে ঘড়িটি ২৬ দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। এরপরও ১৯৮৩ থেকে ২ বছর পর্যন্ত সাময়িক ভাবে বিগ বেন বন্ধ রাখা হয়।