১৯৮৪ সালের এইদিনে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে মতিহারে গুলিবিদ্ধ হন রিজভী
আজ ২২শে ডিসেম্বর ঐতিহাসিক ‘ছাত্র-শ্রমিক সংহতি দিবস’। ১৯৮৪ সালের এদিনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের
মতিহার চত্তরে ধর্মঘট চলা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হন রুহুল কবির রিজভী। ১৯৮৪ সাসের ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ দেশ ব্যাপি ধর্মঘটের ডাক দেয়। সেই ধর্মঘট আন্দোলনের বেগে হরতালে রুপ নেয়।
সেই ধর্মঘট সফল করতে সেই সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা একাধিক ভাগে ভাগ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ষ্টেশন, কাজলা গেট এলাকায় অবস্থান নেয়। সেখানে রিজভীর সঙ্গে আরও গুলিবিদ্ধ হন জাসদ ছাত্রলীগের শাহজাহান সিরাজ। তিনি বুকে বুলেটবিদ্ধ হয়ে ষ্টেশনে লুটিয়ে পড়েন।
পরের গুলি বিদ্ধ হয় সোহরায়ার্দী হলের তিন তালার বারান্দায় থাকা পত্রিকার হকার আব্দুল আজিজের মাথায়। হকার আজিজ ওখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ছাত্রদের রক্তের সাথে শ্রমিকদের রক্ত একই ধারায় প্রবাহিত হয়। আর তাই ২২ ডিসেম্বরকে ঘোষণ করা হয় ‘ছাত্র-শ্রমিক সংহতি দিবস’ হিসেবে।
সেইদিন একই সময়ে ষ্টেশন ও হলের মাঝামাঝি স্থানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীর সাথে থাকা ছাত্রদলের পথিকৃত ছাত্রনেতা রহুল কবির রিজভী কোমরের পেছনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
রুহুল কবির রিজভী বর্তমান সরকারের আমলেও হামলা ও মামলায় নিঃষ্পেষিত। আর শহীদ শাহজাহান সিরাজের আদর্শের নেতা ইনু ও শেখ হাসিনা স্বৈরাচার এরশাদের দলকে সাথে নিয়ে দেশের গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরেছেন।
রুহুল কবির রিজভী বর্তমানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি দলের দফতর সম্পাদক ও মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতিষ্ঠাকালীন সময়েই তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগদান করেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরবর্তিতীতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
রিজভী ১৯৮৯ সালের সর্বশেষ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নির্বাচনে এর সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন এবং ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।