ইয়েমেনের বিমানবন্দরে সৌদি জোটের হামলা

0

সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে রাজধানী সানার একটি বিমান বন্দরে হামলা চালিয়েছে। জোটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আন্তঃসীমান্ত বিমান হামলা চালানোর কাজে বিমানবন্দরটিকে ব্যবহার করা হতো।

২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের সাতে দেশটির সরকারের গৃহযুদ্ধ চলছে। বিদ্রোহী বাহিনী গত কয়েক বছর ধরে বিমানবন্দরটি নিজেদের দখলে রেখেছে। একই সাথে বিমানবন্দরটি জাতিসঙ্ঘ নেতৃত্বাধীন মানবিক ত্রাণ সহায়তার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ইয়েমেনে বিমান হামলার আগে সামরিক জোট জাতিসঙ্ঘের কাছে আহ্বান জানিয়েছিল যাতে নিজেদের কর্মীদের ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেয় সংস্থাটি।

এতে আরো বলা হয়, বিমান হামলার সময় নির্দিষ্ট কয়েকটি সাইট অর্থাৎ কিছু চিহ্নিত সামরিক স্থাপনাকে বেছে নেয়া হয়েছিল।

সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের একজন মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল টার্কি আল-মালকি বলেছেন, বিমান হামলায় ছয়টি লক্ষবস্তু, বিশেষ করে যেসব জায়গা থেকে ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হতো, ড্রোন চালানো প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন এমন মানুষজনের বাড়িঘর এবং যেসব জায়গায় ড্রোন রাখা হয় সেসব স্থান লক্ষ্য করে এই স্ট্রাইক চালানো হয়েছে।

তবে কোনো পক্ষই এখনো হামলার বিস্তারিত প্রকাশ করেনি।

গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আরব বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ইয়েমেন ভয়াবহ মানবিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে।

বিদ্রোহী বাহিনী দেশটির কেন্দ্রীয় শহর মারিব এবং উপকূলীয় শহর হোদেইদাকে টার্গেট করেছে। উল্টোদিকে, যখন জোট রাজধানী সানা এবং অন্য বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাতে বিমান হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে।

২০১৫ সালে হাউসি বিদ্রোহীরা সানা থেকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে হস্তক্ষেপ করেছিল।

সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির হাজার হাজার লোক নিহত হয়েছেন এবং এ গৃহযুদ্ধ প্রতিযোগী আঞ্চলিক শক্তির মধ্যে একটি ‘প্রক্সি’ যুদ্ধে পরিণত হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com