গড়ে প্রতিবছর পাচার হচ্ছে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা
দেশ থেকে অর্থ পাচার রোধে বহু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এ ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সুফল না পাওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। জানা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে বাংলাদেশ থেকে ৪ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এ হিসাবে গড়ে প্রতিবছর পাচার হচ্ছে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা।
সম্প্রতি প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। মূলত ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিং- এ দুটি প্রক্রিয়ায় প্রতিবছর বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচার হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় টাকা পাচার বেড়েছে। এ ছাড়া দুর্নীতিও টাকা পাচারের অন্যতম কারণ। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করেন, দেশ থেকে প্রতিবছর যে পরিমাণ টাকা পাচার হয়, তার আংশিক তথ্যই প্রকাশ পায়।
এ অবস্থায় বিস্তারিত তথ্য খুঁজে বের করে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পাচার কমবে না। একইসঙ্গে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ প্রবণতা বন্ধ না হলে তা দেশের অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিপুল অঙ্কের টাকা পাচারের কারণে এসডিজির সফল বাস্তবায়ন ও অন্যান্য লক্ষ্য অর্জন বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়লে এবং দুর্নীতি কমলে বিদেশে অর্থ পাচার হ্রাস পাবে। কাজেই অর্থ পাচার রোধে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি দুর্নীতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।