রোহিঙ্গা নিপীড়নকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

0

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নিপীড়নের ঘটনাকে ‘খুব সক্রিয়ভাবে’ গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। দেশটিতে কী কী ঘটেছে আমরা সে বিষয়ে সক্রিয়ভাবে নজর রাখছি। সেখানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে চলমান নিপীড়নকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করার বিষয় ‘সক্রিয়ভাবে’ ভাবা হচ্ছে- এ মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন। বুধবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

অ্যান্থনি ব্লিনকেন বলেন, জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জাতি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ২০১২ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় অনেক  রোহিঙ্গার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে আক্রমণের ভয়ের মধ্যে বাস করছে তারা। সর্বশেষ ২০১৭ সালে মিয়ানমারে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়। সে সময় রোহিঙ্গাদের হত্যা, মারধর, ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে ৭ লাখ ৫০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। রোহিঙ্গা সংকটের পর দেশটিতে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখল করে নেয় সেনাবাহিনী। এর পর থেকে আন্দোলন দমাতে জান্তা সরকার নির্বিচারে মানুষ হত্যা ও বিরোধীদের গ্রেফতার করছে।

ব্লিনকেন বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে ‘খারাপ হয়ে গেছে’। তিনি বলেন, আমি মনে করি সামনের সপ্তাহ বা মাসগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। এ সময় দেখার বিষয় হবে মিয়ানমারকে গণতন্ত্রের পথে ফেরাতে চাপ প্রয়োগের জন্য আমরা ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগতভাবে অতিরিক্ত কী পদক্ষেপ নিই। মার্কিন এ কূটনীতিকের মতে, অতিরিক্ত পদক্ষেপের মধ্যে সেনাবাহিনীর নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো বিষয় থাকতে পারে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com