র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আ.লীগের ওপরেই বর্তায়: মির্জা ফখরুল
পুলিশের এলিট বাহিনী র্যাবের ওপর মার্কিন যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে এটা আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের র্যাবের কতিপয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা বিব্রতকর উদ্বেগজনক, লজ্জাজনক তবে এ উদ্যোগ অবশ্যম্ভাভী।
তিনি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞার ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি সামনে আসায় তা জাতিসংঘের শান্তি মিশনে আইনশৃঙ্খলা ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, র্যাব প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়ী নয়, অভিযুক্তদের বিষয়ে উপযুক্ত তদন্ত হওয়া দরকার, তা না হলে এর দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব রাষ্ট্রের ওপর পড়বে।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সেখানে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার এই প্রভাব পড়বে।
তিনি বলেন, রূঢ় শোনালেও এটা অস্বীকার করার সুযোগ নাই, ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক এই নিষেধাজ্ঞা বর্তমান চলমান গণ ও মানবতাবিরোধী সরকারের জন্য সমগ্র বিশ্ববাসীর পক্ষ থেকে একটি শক্তিসালী বার্তা। আর সেটা হলো কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এধরনের বিচারহীন সংস্কৃতি চলতে পারে না। কেবলমাত্র একটা অগণতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী সরকারের শাসনকালেই এধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। আর বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর কাছে বর্তমানে সেরকমই একটি কর্তৃত্ববাদ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতি আশ্রয়ী সরকারব্যবস্থা চালু রয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি মনে করে র্যাবের উপরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সকল দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করবার লক্ষে আইন শৃঙ্খলারক্ষা বাহিনীকে বেআইনীভাবে ব্যবহার করার সকল দায়িত্ব তাদেরই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমগ্র মানুষের সামনে এটা একটা জাতীয় সমস্যা। আর জাতীয় সমস্যা জাতীয়ভাবে সবাইকে নিয়ে সমাধান করতে হয়। আর সেটা তখন কেবল তখনই সম্ভব, যখন দেশে একটা গণতান্ত্রিক সরকার দ্বারা পরিচালিত হবে। কারণ, গণতন্ত্রবিহীন সমাজে জবাবদিহিতা প্রতিটি পদে পদে বিঘ্নিত হয়, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিদ্যমান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ইকবাল মাহমুদ টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহবায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহবায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।