জনগণ আবার জেগে উঠবে, কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে: বিএনপি
জনগণ আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জেগে উঠবেন এবং কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার, জনগণের পার্লামেন্ট এবং একটা মুক্ত রাষ্ট্র, সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার, সকালে মিরপুরস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিস্তম্ভে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে পুস্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধে জাতিকে মেধাশূন্য করে দিতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। যে উদ্দেশে বুদ্ধিজীবীরা আত্মদান করেছেন, তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা এ বছর স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণ করতে চলেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, ১৯৭১ সালে যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলাম, আমাদের অগণিত সৈনিক প্রাণ দিয়েছেন, বুদ্ধিজীবীরা প্রাণ দিয়েছেন, দুঃখজনক হলেও সত্য গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র আমরা এখনো গড়ে তুলতে পারিনি।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, আমাদের স্বাধীনতার যে আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল, মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা ছিল, সবকিছু ভূলুণ্ঠিত করে দিয়ে এখন এক দলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে বর্তমান শাসক গোষ্ঠী। এ শাসক গোষ্ঠী দেশের জনগণের ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে। তারা অসংখ্য মানুষকে খুন করেছে, গুম করেছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কয়েক বছর ধরে মিথ্যা মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে। এখন এই মুহূর্তে তিনি অসুস্থ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন।
আমরা বারবার বলেছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য। কিন্তু এই গণবিরোধী সরকার শুধু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নয়, কাউকেই তারা এখানে রাজনীতি করতে দিতে চান না। এদেশে তারা বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে একদিকে যেমন তারা বন্দি করে রেখেছেন চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না, অন্যদিকে সমস্ত দেশপ্রেমিক মানুষের উপর তারা অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আজকের এ দিনে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি৷ সেই সঙ্গে আশা করছি, জনগণ আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জেগে উঠবেন এবং কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার জনগণের পার্লামেন্ট এবং একটা মুক্ত রাষ্ট্র সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবেন।