রাজশাহীতে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
রাজশাহীর সাইবার ট্রাইবুন্যালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সদ্য সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বগুড়ার আইনজীবী এ কে এম সাইফুল ইসলাম।
তিনি বগুড়া জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উপদেষ্টা এবং বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বেও রয়েছেন।
রোববার রাজশাহীর সাইবার ট্রাইবুন্যাল আদালতে এই মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইসমত আরা।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্যের বিষয়টি তুলে ধরে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় দু’জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি সদ্য সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান ও অপরজন হলেন মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ। এই মামলায় সাক্ষী হয়েছেন ৫ জন।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১ ডিসেম্বর মুরাদ হাসানের একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন হেলাল নাহিদ। ওই ভিডিও সাক্ষাৎকারটি মুরাদ হাসান তার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেন। ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি (মুরাদ হাসান) জিয়া পরিবারের ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অশালীন, নারী বিদ্বেষী, কুৎসিত বর্ণবাদী যা যেকোনো নারীর প্রতি মর্যাদাহানীকর এমন মন্তব্য করেন। এই অবমাননাকর বক্তব্যের জন্য প্রতিমন্ত্রীর ভিডিওটি মুহূর্তেই ফেসবুকের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের মতো বংশীয় পরিবারের নারীর মর্যাদাহানী হয়েছে। জাইমা রহমানকে নিয়ে মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের কারণে রোববার সাইফুল ইসলাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেছেন। যার ধারা- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৫/২৯/৩১/৩৫ এর (১) ও (২) ধারা।
মামলা ব্যাপারে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইসমত আরা বলছেন, বাদি বিএনপিপন্থী রাজনীতি করেন। তাই তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানের হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এখন বিচারক মামলার আলামত ও অন্যান্য প্রমাণাদি বিচার- বিশ্লেষণপূর্বক গ্রহণও করতে পারেন আবার মামলাটি বাদও দিয়ে দিতে পারেন। আপাতত মামলা হয়েছে, তাই এই মামলার শুনানি না হলে কিছুই বলা যাচ্ছে না।