গণতন্ত্রের প্রতীক খালেদা জিয়ার কিছু হলে জনক্ষোভ নিরসনের ক্ষমতা সরকারের নেই: নজরুল
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া আরও অসুস্থ হলে জনগণের ক্ষোভ নিরসনের ক্ষমতা আমাদের তো নাই। সরকার বাহাদুরেরও নাই।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ড্যাব) এর উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে সুচিকিৎসা ও স্থায়ী মুক্তি এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্যগণের বিরুদ্ধে কুরুচি বক্তব্যের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা দল করে তারা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন করছে। এর বাইরে যে কোটি কোটি জনগণ বেগম খালেদা জিয়াকে মন থেকে ভালোবাসে দল করে নয়। তার জন্য রোজা রাখে, অনিদ্রায় রাত কাটায় সেই মানুষগুলি যে ক্ষোভ তাদের ওপর তো আমাদের হাত নাই। খোদা না করুক বেগম খালেদা জিয়ার আরও অসুস্থ হলে এদের ক্ষোভ নিরসনের ক্ষমতা আমাদের তো নাই, সরকার বাহাদুরেরও নাই।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সারাবিশ্বে আপনারা মর্যাদা হারিয়ে ফেলেছেন। আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র সম্মেলনে আপনাদেরকে ডাকা হয় না। কারণ তারা মনে করে আপনারা গণতান্ত্রিক নন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আপনাদের বিশিষ্ট নাগরিকদের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
তিনি বলেন, আপনারা এত খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন যে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ এত খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নাই। তার পরেও ২১ বছর লেগেছে ক্ষমতায় আসতে। এবার ২১ শত বছর লাগবে।
ডা. মুরাদ হাসানকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় সরকারের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, একটা চিকিৎসক নামের কলঙ্ক একজন প্রতিমন্ত্রী যেসব নারী বিদ্বেষী, জঘন্য ও অশ্রাব্য কথা বলেছেন তাতে সারা দেশের মানুষ তার বিরুদ্ধে সোচ্চার। তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী কিছু কিছু মানুষের সমর্থন পেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা বুঝেছিলাম এটা এক ধরনের আই ওয়াশ এবং তা প্রমাণ হয়েছে। তিনি টিকিট কাটছেন- পত্রিকা, অনলাইনে এসেছে। তিনি এয়ারপোর্টে গেছেন ব্রেকিং নিউজ হয়েছে। কিন্তু তার পরও নির্বিঘ্নে তিনি বিদেশে চলে গেছেন। যদিও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর চেয়ে অনেক কম অপরাধে বিরোধী দলের অনেক নেতাকে আপনারা কারাগারে আবদ্ধ করেছেন। বিনা বিচারে আটক রেখেছেন।
তিনি বলেন, তাকে (ডা. মুরাদ) আপনি যেতে দিয়েছেন, আপনারা যেতে দিয়েছেন। কিন্তু কানাডা একটা সভ্য দেশ, তারা একটা অসভ্য লোককে ঢুকতে দেয়নি। লজ্জা হওয়া উচিত আপনাদের। কিন্তু আমরা জানি আপনারা লজ্জিত হন না। কারণ জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় বসে যদি লজ্জা না পান, তাহলে আর কীসে লজ্জা পাবেন।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।