প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অপরাধ করা মুরাদকে প্রধানমন্ত্রীই নিরাপদ জায়গায় পাঠিয়েছেন: গয়েশ্বর
মুরাদ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অপরাধ করেছেন দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীই তাকে রক্ষা করার জন্য নিরাপদ জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছেন।
শুক্রবার(১০ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মানুষ সওয়াব কামানোর জন্য গরু কোরবানী দেয়, হাসিনা কয়দিন আগে একটা শুয়োর কোরবানী দিয়েছে। সেই শুয়োরটাকেও আবার তিনি কালকে রাতে পাচার করে দিলেন। ইতোপূর্বে যে মুদ্রা পাচার হয়েছে তার যথেষ্ট প্রমাণ এই মুরাদকে পাচার করার মধ্যেই আছে। শুনলাম আওয়ামী লীগ তাকে বহিষ্কার করেছে। জেলা কমিটি অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে। এমনও শুনলাম তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কিন্তু কালকে তিনি ফ্লাই করেছেন। তার মানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মুরাদ অপরাধ করেছে। প্রধানমন্ত্রীই তাকে রক্ষা করার জন্য নিরাপদ জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। এটা কি মিথ্যা?
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলে থাকেন, তার হাতে যতটুকু ক্ষমতা আছে করেছেন। খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকতে দিয়েছেন। যথেষ্ট করেছেন। তিনি খালেদা জিয়ার জন্য কোনো কিছু করতে কৃপণতা দেখাননি। খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে বিতারিত করেছেন শেখ হাসিনা। এতগুলি মামলা দিয়েছেন কে? শেখ হাসিনা। অশালীন অশ্রাব্য গালি ঠাট্টা মশকারীতে পারদর্শী কে, শেখ হাসিনা। সেখানে মুরাদতো শিশু।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আইনের শাসন না থাকলেও একজন ব্যক্তির শাসন আছে তার নাম শেখ হাসিনা। বিচার বিভাগও চলে একজনের কথায়। বাংলাদেশে গুম, হত্যা এমন কোনো ঘটনা নেই যেটা শেখ হাসিনা জানে না বা তার নির্দেশ ছাড়া হয়। বিদেশে যারা মুদ্রা পাচার করে লাখ লাখ কোটি টাকা তাদের নাম গোয়েন্দা অথবা দুর্নীতি দমন কমিশন না জানলেও শেখ হাসিনা ভাল করে জানে। কারণ এ মুদ্রার উৎস কোথায় সেটা শেখ হাসিনা জানে। আর লুণ্ঠিত মুদ্রা যারা অর্জন করে তারা তার আশে পাশেই বসে থাকে। সুতরাং একমাত্র ব্যক্তি সবজান্তা সব জানে তার নাম শেখ হাসিনা।
খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। সেই আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আর রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি ক্ষমা চাইবেন কি চাইবেন না, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর আমি মনে করি খালেদা জিয়া এমন কোনো অপরাধ করেননি যে ক্ষমা চাইতে হবে। এতিমের টাকা তছরুফ করেছেন, সুদে আসলে টাকাতো বেড়েছে, তাহলে তছরুফ করলেন কি করে?
সংগঠনের উপদেষ্টা সাইদ আহমদ আসলামের সভাপতিত্বে ও জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপি নেতা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।