যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ জীবন দিয়েছে, সেই গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে: হাফিজ
অত্যাচার নির্যাতনের কারণে এদেশের মানুষ মুখ খুলতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেজর হাফিজ বলেন, আজকে কারা জনপ্রতিনিধি? জনপ্রতিনিধি হতে এখন আর ভোট লাগে না। জনগণের কাছে দায়বদ্ধতার কোন প্রয়োজন নেই তাদের। এখন নির্বাচনের আগের রাতেই নির্বাচন হয়ে যায়। বাংলাদেশের জনগণের দুর্ভাগ্য যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের মানুষ জীবন দিয়েছে সেই গণতন্ত্রকে এদেশ থেকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এদেশে কোন আইনের শাসন নেই। মানুষের কোন অধিকার নেই। বাক স্বাধীনতা নেই। সমাবেশের স্বাধীনতা নেই।দুর্বৃত্তরা আজকে সমাজপতি হয়েছে। কি ধরনের ব্যক্তিরা মন্ত্রী হয় এটা আপনারা দেখেছেন। কামাল ইবনে ইউসুফ মন্ত্রী ছিল সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর পরিচয়ও আপনারা পেয়েছেন।
মেজর হাফিজ বলেন, কোথায় যাবে বাংলাদেশের মানুষ? আজকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি নতজানু। জাতীয়তাবাদী শক্তি ম্রিয়মাণ। অত্যাচার নির্যাতনের কারণে মানুষ মুখ খুলতে পারে না। এই সরকারের জনপ্রিয়তা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। তারপরও তারা মাসল পাওয়ার দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে রয়েছে।
খালেদা জিয়া জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন উল্লেখ করে বিএনপির এই ভাই চেয়ারম্যান বলেন, খুব দুঃখ লাগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী তিনি বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করতে যাচ্ছেন। সরকারের বড় বড় নেতারা বলেন, তাকে যে বাসায় চিকিৎসা নিতে দিয়েছি সেটাই তো অনেক বেশি। এটা কি তার প্রাপ্য? দেশের যে প্রান্তে বেগম জিয়া নির্বাচন করেছেন সব জায়গায় বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। কোন পরাজয়ের গ্লানি বেগম জিয়াকে স্পর্শ করেনি।
তিনি বলেন, এমন একজন জনপ্রিয় নেত্রীকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। কিসের আইনের দোহাই দেয়া হয়? তিনি তো সাজা প্রাপ্ত নন। সর্বোচ্চ আদালত যখন তার কেসটা ফাইনাল করবে তখন যদি সাজা হয় তারপর বলা যাবে তিনি সাজাপ্রাপ্ত। তার মামলাটি তো এখনো বিচারাধীন রয়েছে। দুর্বৃত্তরা সবাই ঘুরে বেড়াচ্ছে আর বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সঙ্গে শুয়ে কাতরাচ্ছেন। এই কি বাংলাদেশের নিয়তি?