বেগম রোকেয়ার আদর্শ দেশের নারী সমাজকে আরো উদ্যমী ও অনুপ্রাণিত করবে: তারেক রহমান
বেগম রোকেয়ার আদর্শ দেশের নারী সমাজকে আরো উদ্যমী ও অনুপ্রাণিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ (৯ ডিসেম্বর) বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাণীতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন “বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
তিনি বলেন, ধর্মীয় রক্ষণশীল পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন এদেশের নারী জাগরণের পথিকৃত। তিনি তাঁর নিজ জীবনের বাস্তবতার মধ্যে উপলব্ধি করেছিলেন সমাজে নারীর পশ্চাদপদ অবস্থান। উপলব্ধি করেছিলেন শিক্ষাই নারীর আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রধান ধারক। তাঁর জীবন-সংগ্রামের মূল লক্ষ্যই ছিল নারী শিক্ষার বিস্তারের মধ্য দিয়ে নারীমুক্তি। বিশেষভাবে পিছিয়ে পড়া এদেশের মুসলিম নারী সমাজকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য তিনি সর্বপ্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আর নারীমুক্তির বাণী বহন করতে গিয়ে তাঁকে সমাজের গোঁড়া রক্ষণশীলদের প্রচন্ড আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন কর্তব্যকর্মে অদম্য ও অনড়। বেগম রোকেয়া তাঁর ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে নারীর প্রতি সমাজের অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণের মূলে আঘাত হেনে ছিলেন।
তারেক রহমান বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের উন্নয়নে নারীদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করেছিলেন। বেগম রোকেয়ার জীবনাদর্শ ও প্রদর্শিত পথ ধরেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নারীদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে গেছেন।
এছাড়াও বাণীতে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন বেগম রোকেয়ার কর্মময় জীবন ও আদর্শ দেশের নারী সমাজকে আরো উদ্যমী ও অনুপ্রাণিত করবে বলেও জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।