খালেদা জিয়া হচ্ছেন গণতন্ত্রের বাতিঘর: ডা. শাহাদাত

0

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার যে মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে সেটা ছিল একটা সাজানো মামলা। সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে তাকে সাজা দিয়েছে। যেখানে নিন্ম আদালত থেকে দিয়েছিল ৫ বছর, সেখানে হাই কোর্টে গিয়ে ১০ বছর সাজা দিয়েছেন। এখানেই বোঝা যায়, সরকার কীভাবে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করেছেন। কীভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে হরণ করেছে। প্রজাতন্ত্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে কিভাবে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। আজকে সরকার সমগ্র রাষ্ট্রকে একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তার চিকিৎসকরা বলছেন, অতি দ্রুত বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য উন্নত দেশ আমেরিকা, যুক্তরাজ্য বা জার্মানিতে না পাটালে তার জীবন রক্ষা করা মুশকিল হয়ে যাবে। অথচ সরকার তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের অস্তিত্বকে বিলীন করার ষড়যন্ত্র করছে।

আজ বুধবার বিকালে নগরীর প্রবর্তক মোড়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবীতে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রাম শাখার মানব বন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত বলেন, বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছেন গণতন্ত্রের বাতিঘর। তিনি বেরিয়ে এলে গণতন্ত্রের সংগ্রামের জন্য লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসবে। সেজন্যই তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি আজ গুরুতর অসুস্থ। তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার এখন প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসা। ডাক্তাররা পরিষ্কার করে বলেছেন, আমরা যা কিছু করা সম্ভব তা করেছি। আমাদের কাছে সেই উন্নত প্রযুক্তি নেই যা দিয়ে দেশে বেগম খালেদা জিয়াকে পরবর্তী চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে। তাই তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এই উপ মহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তিনি এই দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন। সে জন্য আজ সারা দেশের মানুষ তার মুক্তি চায়, সুচিকিৎসা চায়। বেগম খালেদা জিয়া আর বাংলাদেশের গণতন্ত্র একাকার। তাকে বন্দি করে দেশে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, আওয়ামী লীগ একাত্তরের পর জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া শুরু করেছিল। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে এখন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখানে কেউ কথা বলতে পারে না। আজকে কারো গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। আজকে বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করা হয়েছে।

ড্যাব চমেক শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে এবং ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সারোয়ার আলমের পরিচালনায় মানববন্ধনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দীন আহমেদ মানিক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ড্যাব চট্টগ্রাম শাখার উপদেষ্টা ডা. মো. আব্দুল মান্নান, ডা. মো. আবুল কালাম, নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি ও ড্যাব চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আব্বাস উদ্দীন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ড্যাব চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, সহ সভাপতি ডা. কাজী মাহবুব আলম, ডা. রাহাত খান অন্জন, চমেক শাখার যুগ্ম সম্পাদক ডা. মিনহাজুল আলম, চকবাজার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুর হোসাইন, ড্যাব চমেক শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তানভীর হাবিব তান্না, ডা. ইয়াছিন আরাফাত, দপ্তর সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ মইনুদ্দীন মইন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ডা. কমরুদ্দিন চৌধুরী শোয়েব, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মেহেদী হাসান, ডা. সাদ্দাম হোসেন, ডা. মহসিনুল আজাদ, ডা. গিয়াস উদ্দিন নয়ন, ডা. সাইফ, ডা. হাসিব, ডা. জামশেদ, ডা. সুজন, ডা. আহমেদ মোস্তফা, ডা. মেহেদী, ডা. ইয়াসিন, ডা. তারেক প্রমূখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com