ডা. মুরাদ ছাত্রদল করতেন -এই তথ্য সামনে আসায় বিএনপি’র লাভ হয়েছে: রুমিন ফারহানা
ডা. মুরাদ হাসানের মত বীভৎস, নোংরা মানুষ এক সময় ছাত্রদল করতেন, এই তথ্যে বিএনপি’র সমস্যা কী? বরং এই তথ্য সামনে আসায় বিএনপি’র লাভ হয়েছে। এই তথ্যের মাধ্যমে মুরাদের চরিত্রের আরেক দিক উন্মোচিত হয়েছে – এই লোক বিশ্রীরকম সুবিধাবাদী আদর্শহীন।
১৯৯৬ সালে বিএনপি ক্ষমতা থেকে চলে যাবার পর তিনি ছাত্রলীগে যোগ দেন এবং সেই মেডিকেল কলেজের সভাপতি হন। এরপর তিনি এমপি-মন্ত্রী হয়ে প্রমাণ করলেন এমন পচা লোকদেরই ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ। বিএনপি’র মহাসচিব এই লোক এবং সেই সূত্রে আওয়ামী লীগের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছেন।
হতেই পারে, দলীয় মহাসচিবের এই বক্তব্যের গাঢ় অর্থ কারো কাছে তাৎক্ষণিকভাবে বোধগম্য হয়ে ওঠেনি। কিন্তু প্রকাশ্যভাবে দলের অন্যতম সর্বোচ্চ পদধারীর সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়া, এমনকি এরপরও সামাজিক মাধ্যমে সেটা নিয়ে অনেকের আলাপ চালিয়ে যাওয়া দলের স্বার্থের কতটুকু পক্ষে?
‘বাজারে’ প্রতিটি ইস্যু আসার পর আমরাই আলোচনা করি এটার মাধ্যমে সরকার তার জন্য বিব্রতকর অন্য ইস্যু ধামাচাপা দেয়। মুরাদ-ইস্যু সামনে আসার পরও আমরাই বলেছি এটা দেশনেত্রী ম্যাডাম জিয়ার অসুস্থতার আলোচনা ধামাচাপা দেবার জন্য করা হচ্ছে। এখন মুরাদের ছাত্রদলের ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে বক্তব্যকে কেন্দ্র করে অহেতুক বিতর্ক করে মুরাদ ইস্যুকেও তো চাপা দিচ্ছি আমরা।
এখন নিজেদের মধ্যে ন্যূনতম কোন্দল-বিতর্ক কোনো ব্যক্তি নয়, দুর্বল করবে দলকেই – এটা বোঝা খুব স্বাভাবিক কাণ্ডজ্ঞানের ব্যাপার, রকেট সায়েন্স নয়।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)