মুরাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির
সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
ডা. মুরাদকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটামও দিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে তাকে মন্ত্রিসভা ও জাতীয় সংসদ থেকে অপসারণের দাবি জানানো হয়।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভাচুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হয় আজ মঙ্গলবার। এদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং জিয়া পরিবারের সদস্য বিশেষ করে নারী সদস্যদের নিয়ে যে চরম অশালীন, অরুচিকর রাজনৈতিক ও সামাজিক শিষ্ঠাচার বিবর্জিত সম্মানহানিকর কুৎসিত বক্তব্য দিয়েছেন, সভা থেকে তার তীব্র সমালোচনা, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভা মনে করে, রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদে থেকে এ ধরনের নারীবিদ্বেষী, বর্ণবাদী, সমাজবিরোধী বক্তব্য ও সংবিধানবিরোধী এ বক্তব্যের মাধ্যমে সমগ্র নারী সমাজ এবং মানবতাকে হেয় করা হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে মহাসচিব সভাকে অবহিত করেন। সভায় বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তির জন্য দোয়া করা হয়।’
ফখরুল জানান, আগামী ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে দলীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সুবিধামতো সময়ে আলোচনা সভা করা হবে।
এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, সাড়ে ১০টায় শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন, বিজয় র্যালি এবং আলোচনা সভার আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালনের জন্য মানবাধিকারবিষয়ক কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।