মুরাদের বক্তব্য: বিএনপির সাবেক নারী এমপিদের প্রতিবাদ
খালেদা জিয়ার নাতনী এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে ডা. মুরাদ হাসানের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি দলীয় সাবেক নারী সংসদ সদস্যরা।
সোমবার (৬ডিসেম্বর) বিএনপি দলীয় সাবেক নারী এপিদের পক্ষে শাম্মী আকতার এক বিবৃতিতে বলেন, মুরাদ হাসান রাজনীতি করেন। একটা দলের পদ-পদবিতে আছেন। যেভাবেই হোক তাকে জাতীয় সংসদে সদস্য ও সরকারের প্রতিমন্ত্রীর পদে বসানো হয়েছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় মুরাদ বেতন পান ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। এই ব্যক্তিটি সরকারি পদে আইন অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের শপথ নিয়েছেন। কাজেই সে শপথ, আইন, সংবিধান লংঘন করতে পারেন না। করলে আইন অনুযায়ী তার প্রতিকার ও প্রতিবিধানের দায়িত্ব সরকারের।
তারা বলেন, জাইমা রহমানের পারিবারিক পরিচয় যাই হোক তিনি রাজনীতি করেন না এবং পাবলিক ডমেইনের অন্তর্ভুক্ত নন। জাইমা একজন প্রাইভেট সিটিজেন ও নারী। তার সম্পর্কে কুৎসিত, কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল, মিথ্যা, বর্ণবাদী ও নারীবিদ্বেষী মানহানিকর কুৎসা প্রচার করে মুরাদ তার শপথ, দেশের প্রচলিত অনেকগুলো আইন এবং সংবিধান লংঘন করেছেন। সমাজকে কলুষিত ও দেশের নাগরিকদের প্রকাশ্যে হেয় ও অসম্মান করেছেন। এমন বিপজ্জনক ব্যক্তি এসব গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার জন্য অনুপযুক্ত ও অযোগ্য। তাকে দ্রুত রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক সব পদ থেকে অপসারণ করে দেশের আইন মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি। না হলে এই ঘৃণ্য অপরাধীর দায় সরকারের ওপরেই বর্তাবে।
বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করছেন তারা হলেন, সাবেক এমপি সেলিমা রহমান, শিরিন সুলতানা সুলতানা আহমেদ, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, নিলোফার চৌধুরী মনি, হেলেন জেরিন খান, রাশেদা বেগম হীরা, রেহানা আক্তার রানু, বিলকিস ইসলাম, নেওয়াজ হালিমা আরলি, ফাহিমা হোসেন জুবলি, ইয়াসমিন আরা হক, রেজিনা ইসলাম, জাহান পান্না, অ্যাডভোকেট রীনা পারভীন ও শাম্মী আক্তার।