সমাবেশে যোগ দেয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় বিএনপির ৭ চেয়ারম্যানসহ আহত ১৫

বগুড়ার শেরপুরে বাস-ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মধ্যে ত্রি-মুখি সংঘর্ষে বিএনপি দলীয় সাতজন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের স্থানীয় উপজেলা হাপসাতাল ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের হাজীপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় মহাসড়কের উভয়পাশে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন ।

আহতরা হলেন, বিএনপির দলীয় বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আজগর তালুকদার হেনা, জেলার সোনাতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল তৈয়ব জাকির, সারিয়াকান্দি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান হিরু, গাবতলী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম হেলাল, শাজাহানপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সরকার বাদল, ধুনট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম মামুন, নন্দীগ্রাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের চালক মো: সুজন মিয়া।

এছাড়া দুর্ঘটনা কবলিত বাস-ট্রাকের চালক ও তাদের সহকারীরাও আহত হয়েছেন।

শেরপুর পৌরসভার মেয়র মেয়র জানে আলম খোকা জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির থেকে নির্বাচিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানদের নিয়ে সোমবার ঢাকায় সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেই সমাবেশে যোগ দিতে রোববার দিবাগত রাতে বগুড়া জেলার সাতজন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একটি মাইক্রোবাস যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গুরুতর আহত হন তারা। খবর পেয়েই তিনিসহ দলীয় নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।

দুর্ঘটনায় আহত ধুনট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম মামুন জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী একটি বাস মহাসড়কের হাজীপুরে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি সবজি বোঝাইট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে সবজি বোঝাই ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটিকে চাপা দেয়। এতে তিনিসহ মাইক্রোবাসে থাকা সবাই আহত হন। তবে মাইক্রোবাসচালক সুজন মিয়ার মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

হাইওয়ে পুলিশের শেরপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হয়। মহাসড়কের মধ্যে উল্টে পড়ে থাকা দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন দ্রুত অপসারণ করা হয়। এতে কিছু সময়ের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও আবারো স্বাভাবিক হয়।

এদিকে আহতদের সুস্থ্যতা কামনা করেছেন বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মো: সিরাজ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।