খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছেন, খাবারেও রুচি পাচ্ছেন না

0

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা। তিনি খাবারেও রুচি পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে।

সংশ্নিষ্ট চিকিৎসকরা জানান, খালেদা জিয়াকে দেখতে প্রতিদিনই হাসপাতালে আসেন তার ছোট পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান শিথি। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুয়ায়ী নানা ধরনের খাবার রান্না করে নিয়ে যান। কিন্তু তেমন কিছু খেতে পারেন না বিএনপি নেত্রী। তাই বেডে শুয়ে পুত্রবধূকে বলেন, ‘এত খাবার আন কেন? আমি তো কিছুই খেতে পারি না।’ শাশুড়ির কাছে পুত্রবধূ জানতে চান, ‘মা আপনার কেমন লাগে? কী খেতে ভালো লাগে। জোর করে হলেও তো কিছু খেতে হবে। আপনার জন্য সবাই দোয়া করছেন। ‘

পুত্রবধূ ও শাশুড়ির এ কথোপকথনের তথ্য জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আত্মবিশ্বাস ও মনোবল দৃঢ় আছে। আমরা মাঝেমধ্যে বিচলিত হয়ে পড়লেও তিনি ঠিক থাকেন। সবার কাছে দোয়া চান। আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী প্রতিদিন হাসপাতালে খাবার নিয়ে আসেন। তবে তিনি থাকেন না। খাইয়ে দিয়ে আবার চলে যান।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের আরেকজন সদস্য জানান, অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কারণে খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ কমে আসছে। এই অবস্থা ধরে রাখতে পারলে এই সপ্তাহের মধ্যে কেবিনে নেওয়া সম্ভব। তবে আশঙ্কার কথা হলো, যে কোনো সময় তা বেড়ে যেতে পারে। এজন্যই ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। স্বস্তির খবর হলো, ইলেকট্রোরাল ব্যালেন্স এসেছে। অর্থাৎ শরীরে খনিজের সমতা বিরাজমান। এটি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়লে আরও দুর্বল হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। শরীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিক আছে। ইনসুলিন দিয়ে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। বর্তমানে রক্তের হিমোগ্লোবিন ৮ দশমিক ৫ আছে। তবে তার মুখ শুকনো, চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ। খুব ধীরে কথা বলেন। জোরাজুরি করে খাওয়াতে হয়।

শনিবারও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি নেত্রীর স্বাস্থ্যের একাধিক রুটিন টেস্ট করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, যত দ্রুত তাকে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়া যায় ততই মঙ্গল।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com