প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার

0

বিশ্বের বৃহত্তম প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর আচরণ ও নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একটি বিস্তৃত সংসদীয় তদন্ত পরিচালনা করবে অস্ট্রেলিয়া। বুধবার (১ ডিসেম্বর) দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এই ঘোষণা দেন। বিশ্বব্যাপী অ্যালফাবেট লিমিটেড ও ফেসবুকের লাগাম টানতে যে প্রচেষ্টা চলছে তার নেতৃত্ব দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য জন্য যা অনুকরণীয় মডেল হতে পারে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

নতুন আইনের সম্ভাব্যতার কথা জানিয়ে মরিসন বলেন, নতুন এ তদন্তের পরিধি অনেক বড় হবে। তাছাড়া কমিটির আইন প্রণেতাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যবহৃত অ্যালগরিদমগুলো তদন্ত করতে বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে শনাক্তকরণ, বয়স যাচাই করে ও তাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে তা তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখবেন।

মরিসন বলেন, বড় প্রযুক্তির উত্তর দেওয়ার জন্য বড় প্রশ্ন রয়েছে। পাশাপাশি যারা বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে তাদের দায়িত্ব রয়েছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার। তবে এই নতুন তদন্তের ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও ফেসবুক-গুগলের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। সম্প্রতি ফেসবুক তার নাম পরিবর্তন করে মেটা রেখেছে।

এই বছরের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়া কঠোর নতুন আইন প্রয়োগ করেছে। ফলে প্রযুক্তি সংস্থাগুলোকে কন্টেন্টের জন্য দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমকে অর্থ পরিশোধ করতে হয়। যারা সামাজিক মাধ্যমে মানহানিকর মন্তব্য পোস্ট করে তাদের সম্পর্কে যাতে তথ্য পাওয়া যায় এমন আইনেরও প্রস্তাব করেছে অস্ট্রেলিয়া।

বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার একটি সংসদীয় কমিটিকে। ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

কয়েক দিন আগে মস্কোর একটি আদালত অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেটেডের গুগলকে ফের ৩০ লাখ রুবল বা ৪০ হাজার ৪০০ ডলার জরিমানা করে। নিষিদ্ধ বিষয়বস্তু সরিয়ে না নেওয়ায় এ জরিমানা করা হয়। তবে এ জরিমানাকে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

সার্চ ইঞ্জিন ও ইউটিউব থেকে নিষিদ্ধ বিষয়বস্তু সরিয়ে ফেলতে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় এ বছরের অক্টোবরে গুগলকে জরিমানা করার হুমকি দিয়েছিল রাশিয়া। মনে করা হয় বিদেশি কারিগরি সংস্থাগুলোর লাগাম টানতে এ জরিমানা মস্কোর সবচেয়ে শক্তিশালী পদক্ষেপ। জানা গেছে, এ বছর রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে কয়েকবার জরিমানা করেছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com