গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের আন্দোলন সংগ্রামে শহীদ ডাঃ মিলন আমাদের প্রেরণার উৎস: তারেক রহমান

আজ শহীদ ডাঃ মিলন দিবস উপলক্ষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শহীদ ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন ‘৮০’র দশকে স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একটি অবিস্মরণীয় নাম। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে ডাঃ মিলনের আত্মদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর তৎকালীন সরকারের লেলিয়ে দেয়া পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন তিনি। তাঁর শাহাদৎ বার্ষিকীতে আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।

তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারী শাসনের শৃঙ্খল থেকে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে গিয়েই শহীদ হয়েছেন ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন। সকল কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী গণতন্ত্র বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ডা: মিলন আমাদের প্রেরণার উৎস।

এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কষ্টার্জিত ও রক্তস্নাত গণতন্ত্র আবারও গভীর খাদের কিনারে গিয়ে পড়েছে। ৫ জানুয়ারীর ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং গত ২৯ ডিসেম্বর নিশিরাতের নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় দু:শাসনের করাল গ্রাসে গিলে ফেলা হয়েছে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা। গণতন্ত্রের শত্রুরা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ফেলেছে। মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা অপহরণ করা হয়েছে। মানুষের কথা বলা ও ভোটের অধিকার হরণ করে অতীত বাকশালের দু:স্বপ্ন এখন ভয়াল রুপ ধারণ করে বাস্তব রুপ লাভ করেছে

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র ধ্বংসকারী অপশক্তিগুলোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বিদেশে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত ভীতের ওপর দাঁড় করাতে হবে। আর তাহলেই ডাঃ মিলনের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।