খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবিতে প্রয়োজনে রাস্তায় ঘুমানোর প্রস্তুতি নিন: ইশরাক
সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমরা আমাদের নেত্রীর সুচিকিৎসার জন্য যে আন্দোলন করছি সেটার ফল পেতে চাই। আপনারা কাঁথা বালিশ নিয়ে তৈরি হন, বাড়ির কথা ভুলে যান, রাস্তায় স্থায়ীভাবে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেন।
তাহলে আন্দোলনে সফল হবো।
সোমবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি আজকে এখানে কি কারণে উপস্থিত হয়েছি। বর্তমান সরকার আইনের ধারা দেখাচ্ছে। বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছে। আপনারা সবাই জানেন এগুলো কিছুই না, শুধুমাত্র অজুহাত। শীর্ষ সন্ত্রাসী, বহু খুনের ফাঁসির আসামিকে রাতের আধারে ঢাকা সেন্ট্রাল জেল থেকে কর্ডন করে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। যখন শীর্ষ সন্ত্রাসী ফাঁসির আসামিকে দণ্ড মওকুফ করে দেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট, তখন কোনো আইন দেখা হয় না।
সরকারের উদ্দেশে ইশরাক বলেন, আপনারা দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েন না। এখনও সময় আছে দয়াকরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভূইয়া, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আব্দুস সালাম আজাদ, শামীমুর রহমান শামীম, মীর নেওয়াজ আলী, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন প্রমুখ।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে গত ২০ নভেম্বর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দিনব্যাপি গণঅনশন শেষে দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ সমাবেশের ডাক দেন। একই সঙ্গে সারাদেশে জেলা ও মহানগরে এ কর্মসূচি পালন করছে দলটি।