জনগণ এখন জনগণের সরকার দেখতে চায়: রব
জনগণ আর এক ব্যক্তির সরকার দেখতে চায় না দাবি করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, জনগণ এখন জনগণের সরকার দেখতে চায়। এদের সরাতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে লড়াই করতে হবে।
বাঁচার জন্য বাঁচবো সবাই, লড়াই করবে কে? এ লড়াই জনগণের লড়াই, এ লড়াই ঐক্যবদ্ধ লড়াই।
রোববার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে মওলানা ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আ স ম রব বলেন, সব কিছু শেষ আছে, রামকে যখন হত্যা করতে গেছে তার মা ৮০ বছরের বুড়ি সরে যাচ্ছিলো, তখন তারা বলে বুড়ি তোর ছেলেকে মারতে আসছি, তুমি কোথায় যাও। তখন রামের মা বলেছিলেন, আমি পালাচ্ছি না, তোমাদের শেষটা দেখার জন্য বাঁচতে চাই। আপনাদেরও (সরকারের) শেষটা দেখার জন্য দেশের মানুষ অপেক্ষা করে আছে। ৬৯এর গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধের সময় গরু চোরেরা মানুষের ওপর ভীষণ অত্যাচার করেছে। সেই গরুচোরদের টুকরা টুকরা করে কেটে লাকসাম আর ধামরাইতে গরুকে দিয়ে খাওয়াইয়া দিছে। মানুষ আজকে যে কি অতিষ্ঠ, এমন কোনো ঘর, এমন কোনো বাড়ি পাবেন না যেখানে এ সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয় নাই।
সরকারের উদ্দেশে আ স ম রব বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ? বিরোধী দলে গেলে ধর্মনিরপেক্ষতা আর ক্ষমতায় গেলে মক্কানীতি-মদিনা সনদ। এর নাম ধর্মনিরপেক্ষতা। এবার হিন্দুদের সম্পত্তি নষ্ট করছে কে? মন্দির ভাঙছে কে, কক্সবাজারে বৌদ্ধদের মন্দির ভাঙছে কে? দিনাজপুরে গীর্জা নষ্ট করছে কে?
সরকার কারও ব্যক্তিগত নয় উল্লেখ করে রব বলেন, (প্রধানমন্ত্রী) বলে আর কত ভর্তুকি দেব? আরে কার টাকা দেন ভর্তুকি? জনগণের টাকা। কয় (প্রধানমন্ত্রী) এতো উন্নয়ন করি তারপরও আমাদের বিরুদ্ধে মিটিং করে। উন্নয়ন করেন, আপনারা ১০ টাকার কাজ ১০ লাখ টাকায় করেন। লুটপাট করে খাইতেছেন। মানুষ রিলিফ পাচ্ছে না। করোনার টিকা আনছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলে বলে হিসাব বলতে পারবো না। করোনার যে টিকা আনছে সেখানে যে কমিশন খেয়েছে সেটার হিসাব দিতে পারবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ।