সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা সদর ইউনিয়নের চন্ডীপুর জামিয়া মাদরাসা সংলগ্ন মসজিদ চত্বরে আয়োজিত ওই দোয়া অনুষ্ঠানে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বিএনপির কর্মীরা।
শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মাসুদুল আলম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে স্থানীয় একটি মাদরাসায় দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দোয়া অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্তে শ্যামনগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক সরদার হাফিজ ও উপজেলা রাসেল স্মৃতি সংসদের সভাপতি রহমত আলীর নেতৃত্বে ৬০/৭০ জন যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সেখানে হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, এসময় হামলাকারীদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে উপজেলা বিএনপি সভাপতিসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আব্দুল ওয়াহেদ মাস্টার, আশেক-ই এলাহী মুন্না, মতিউর রহমানসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী বলেন, আহতদের মধ্যে সংকটাপন্ন অবস্থায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক আশেক-ই এলাহী মুন্না ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জহির হোসেনকে সাতক্ষীরা সিবি হসপিটালের আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, ভুরুলিয়া বিএনপি সভাপতি মতিউর রহমানসহ অন্যদের শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
হামলার বিষয়ে জানতে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সরদার হাফিজের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তিনি।