আমি সাক্ষী সাজাপ্রাপ্ত হলেও আমাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছিল: রব
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, আমি সাক্ষী ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে আমাকে চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে পাঠানো হয়েছিল। আমি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলাম। আমি জার্মানিতে এক বছর ছিলাম।
এ সময় তিনি বলেন, সংবিধানের কোন আর্টিকেলে আছে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবে না? আমি সরকারের কাছে জানতে চাই।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত গণঅনশনে সংহতি জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আ স ম রব বলেন, ‘শুধুমাত্র প্রতিহিংসার কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। মাত্র ২ কোটি টাকার মামলায় তাকে সাজা দিয়ে বন্দী রাখা হয়েছে, জামিন দেয়া হচ্ছে না। সেই টাকা কোথাও খরচ হয়নি। ব্যাংকেই আছে। এটাই সরকারের প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।’
তিনি বলেন, ‘আমি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারের কি অবস্থা হবে তা আমি জানি না। গাঁ শিউরে উঠে আমার। ঘরে ঘরে আগুন জ্বলবে।’
এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ঘোষিত সকল আন্দোলনে অংশ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় গণঅনশনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন।