জিয়া পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে বাংলাদেশ ভাল থাকবে না: দিদার
জিয়া পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে বাংলাদেশ ভাল থাকবে না মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বলেছেন, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বেগম খালেদা এক সময় এদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার স্বামী শহীদ জিয়াউর রহমান এদেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তারা ক্ষমতায় ছিলেন। চাইলে ওনারা অনেক কিছু করতে পারতেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কমনায় কুমিল্লার লাঙ্গলকোটের নিজ বাসায় এক দোয়া মাহফিলে শামসুদ্দিন দিদার এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমি এতদিন অতপ্রতভাবে জড়িত থেকেও জিয়াউর রহমানের পরিবারের কাউকে রাজনীতিতে অর্থশালী, প্রভাবশালী দেখিনি। অথচ অন্য আরেকজন নেত্রীর পরিবার-পরিজনের দেখা যায় একেকজন এই বিভাগের, ওমুক ঐ সিটি করপোরেশনের, ওমুক মন্ত্রী। এখানেই দুই পরিবারের প্রার্থক্য। তাই জিয়া পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কমনা করে দিদার বলেন, খালেদা জিয়া কখনো বিদেশে যেতে চাননি। এক-এগারোর সরকার বেগম জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে চেয়েছিলেন। তিনি যাননি। তিনি দেশকে ভালোবেসে, দেশের জনগণকে ভালোবেসে দেশে থেকে গেছেন।
শামসুদ্দিন দিদার আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা ভালো না। তাকে ধুঁকে ধুঁকে মারার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা বেগম জিয়ার চিকিৎসায় বাঁধা দিচ্ছেন, বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন আল্লাহ যেনো তাদের হেদায়েত দান করেন।
নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান ডিলার, আব্দুল কাদের ভুঁইয়া, মো: সাদেক হোসেন, যুবদল নেতা মনিরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা অধ্যাপক মো: জালাল আহমেদ, শাহাবুদ্দিন সাবু, কুমিল্লা দক্ষিন জেলা যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম মন্টু, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন আসিফ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাহাবুদ্দিন সাবু, জিয়া সাইবার ফোর্স কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. শাহিন মজুমদারসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।