খালেদা জিয়া ‘জীবন-মৃত্যুর’ সাথে যুদ্ধ করছেন, তাঁকে বিদেশে চিকিৎসা দিয়ে জীবন রক্ষার আহ্বান ফখরুলের

0

খালেদা জিয়া ‘জীবন-মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ’ করছেন বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে সংগ্রাম করছেন। তার  চিকিৎসার ব্যাপারে আমাদের এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। তিনি বিভিন্ন রকম অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন। এই অসুখ এমন পর্যায় পৌঁছেছে যে, তাকে বাইরে চিকিৎসা করাটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়, একথা ডাক্তাররাই বলছেন। বলছেন, তাকে বিদেশে পাঠালে তিনি সুস্থ হবেন। ”

বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিতসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব একথা জানান।

‘‘এভারকেয়ার সবচেয়ে ভালো হাসপাতাল। এখানে যে ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে তারাও বলছেন যে, আমরা পুরোপুরি একুইপ্ট নই তার চিকিৎসার এই অসুখগুলো সারিয়ে তুলতে। এখন দেশনেত্রীর বিদেশে চিকিৎসাটা সবচেয়ে জরুরী। একথা বার বার বলা হচ্ছে। আজকে অন্যান্য দলগুলো বলছে, সবাই বলছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের নেত্রী তিনি সম্পূর্ণভাবে সেটাকে গ্রহন করছেন না।”

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আমরা আবারো বলছি, আবারো আহবান জানাতে চাই যে, অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন তার জীবন রক্ষার্থে। এর সঙ্গে রাজনীতিকে নিয়ে আসবেন না।”

‘‘কারণ এই নেত্রীর যে অবদান এই নেত্রীকে অপমান করা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অপমান করা। ১৯৭১ সালে এই নেত্রী গৃহবধু ছিলেন। আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমান যখন বিদ্রোহ করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বেরিয়ে যান তখন এই দুইটি শিশু তারেক রহমান সাহেব ও আরাফাত রহমান সাহেবকে নিয়ে তিনি (খালেদা জিয়া) বেরিয়ে এসেছিলেন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ ৮ মাস তিনি কারাগারে ছিলেন। অর্থাৎ এদেশের স্বাধীনতায় যে, তার অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। পরবর্তী কালে এই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম দীর্ঘ ৯ বছরের এবং এখনো এই গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য তিনি কিন্তু কারাগারে আছেন।”

নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান রেখে তিনি বলেন, ‘‘আসুন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে যখন আমরা স্মরণ করবো, তার আর্দশকে যখন আমরা স্মরণ করবো সেই সঙ্গে আমরা সবাই আজকে যে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমি ব্যক্তিগতভাবে শুধু নই যারা আমরা রাজনীতি করি আমরা স্বীকার করি যে, এই নেত্রীর যে অবদান সেই অবদান বর্তমানে জীবিত কোনো রাজনৈতিক নেতার নেই।”

‘‘হায়াত মউত তো আল্লাহ হাতে। এই নেত্রীকে বাঁচানোর জন্য সর্বাত্মক যে প্রচেষ্টা সেই প্রচেষ্টা গ্রহন করবার জন্য প্রয়োজনে আমাদের জীবন পর্যন্ত উতসর্গ করবো। আসুন সেইভাবে আমরা প্রস্তুত নেই, সেইভাবে আমরা কাজ করি।”

জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরীর হলে বিএনপির উদ্যোগে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫তম উদ্যোগে এই আলোচনা সভা হয়।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটির আহবায়ক আবদুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে ও কমিটির সদস্য এসকে সাদীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, যুব দলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন শ্যামল, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ইশরাক হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com