তেলের দাম বৃদ্ধি পলিটিক্যাল সিদ্ধান্ত, জানালেন জ্বালানি সচিব
দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি সম্পর্কে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান বলেছেন, এটা পলিটিক্যাল সিদ্ধান্ত। আমলাদের এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই।
তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে জ্বালানি নিয়ে যখন একটা রাজনীতি হয়, সেটা পলিটিক্যাল নুইসেন্স হিসেবেই বিবেচিত হয়ে থাকে। এ কাজটা আমরা করিনি।’
আজ বৃহস্পতিবার ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তিনি এ সব কথা বলেন।
আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমরা ৬ মাস অপেক্ষা করতে পারতাম। আমরা ৬ মাস অবজারভেশনে রেখেছিলাম। যখনই আমাদের আওতার বাইরে চলে গিয়েছে, যখনই আমরা আর কোনো জায়গা থেকে, কোনো উৎস থেকে অর্থায়নের কোনো নিশ্চয়তা নেই বলে জেনেছি, তখন আর কোনো উপায় ছিল না।’
‘গত ২ বছরে সরকার বিপিসি থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা না নিলে হয়তো আরও ৬ মাস অপেক্ষা করা যেত,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ, গ্যাসের দাম বাড়বে কি না সেটা এখনই বলতে পারছি না। সেটা করতে হলে বিইআরসির মাধ্যমেই করতে হবে। আপনারা জ্বালানি তেলের মূল নির্ধারণে কোনো মেকানিজম করা যায় কি না, সেটার কথা বলেন। সেটা আমরা করতে পারি না, তা না। কিন্তু সেটা করলেই কি পরিবহন ভাড়া কমে যাবে? অতীত ইতিহাস বলে যে, সেটা হয় না।’
তবে অকটেন ও পেট্রোল স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় বলে এ দুটির দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানান তিনি।
এফইআরবির চেয়ারম্যান অরুণ কর্মকারের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইজাজ হোসেন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।