প্রতিপক্ষহীন নির্বাচনেও সংঘর্ষ, আহত-নিহত বহু
দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবারের এই নির্বাচনের সহিংসতায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক। তবে পরিস্থিতি বিবেচণায় মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
জানা যায়, নরসিংদীতে তিনজন, কক্সবাজারে একজন, চট্টগ্রামে একজন ও কুমিল্লায় একজন নিহত হন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে দেশের ৮৩৫টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট চলাকালীন ভোটকেন্দ্রে ঢুকে জোর করে ব্যালট পেপারে সিল মারা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর আগে প্রথম ধাপের নির্বাচনে প্রাণহানি হয়েছে ৫ জনের।
নরসিংদীতে কেন্দ্র দখল নিয়ে আ’লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ৩
নরসিংদীর রায়পুরার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল বাঁশগাড়িতে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে রায়পুরার বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
নির্বাচনী সহিংসতা : কুমিল্লায় গুলিবিদ্ধ একজনের মৃত্যু
কুমিল্লার মেঘনায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে বহিরাগতদের হামলায় শাওন আহমেদ (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন আরো চারজন।
ফটিকছড়িতে নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণ গেল ১ জনের
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ১৩ নম্বর লেলাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের এম আর সি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছেন।
কক্সবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ গেল যুবকের
কক্সবাজারের সদর উপজেলার খুরুশখুল ইউনিয়নে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আক্তারুজ্জামান পুতু (৪৫)। নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গেছে।